২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধুম নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা মানুষ

- নয়া দিগন্ত

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ঘোড়ামারা এলাকার ধুম নদীতে। ইতোমধ্যে বসতভিটা, গাছপালা ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ।

জানা যায়, জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের পূর্ব গোলমুন্ডা ঘোড়ামারা এলাকায় ধুম নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে ওই গ্রামের ১২টি পরিবারের ঘরবাড়ি, বাঁশঝাড়, গাছপালা ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে নতুন নতুন এলাকা। হুমকির মুখে পড়েছে পূর্ব গোলমুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মসজিদ। যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে এই দুটি স্থাপনা। এদিকে ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না থাকায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ। ঘোড়ামারা গ্রামের অনেকের অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পরেও ভাঙ্গন রোধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় প্রতিদিন বসতভিটা ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে।

গোলমুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসেন জানান, ঘোড়ামারা গ্রামের ধুম নদীর ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বলেন, ঘোড়ামারা গ্রামে নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি লোক পাঠিয়ে বিষয়টি দেখছি ।


আরো সংবাদ



premium cement