১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল

কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল - সংগৃহীত

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েক কোটি টাকার মূল্যবান সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বেদখল হয়েছে। সম্প্রতি এক দখলদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠালেও অপরাপর দখলদাররা এখনও রয়েছে ধরছোঁয়ার বাইরে।

জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত ৭৪ শতাংশ সম্পত্তি দখল করে বাস-মিনিবাস শ্রমিক অফিস, কোচিং সেন্টার ও ওয়েলডিং কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছেন দখলদাররা। গত ২০ সেপ্টেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু ওই সম্পত্তিতে তার নির্মিত রিকশা শ্রমিক অফিস ঘর সংষ্কার করার সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। পরে তিনি ওইদিনই জামিনে ছাড়া পান।

এলাকাবাসী জানায়, স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীকে ম্যানেজ করে দখলদারিত্ব বজায় রেখেছেন দখলদাররা। ফলে ওই সম্পত্তি দখলমুক্ত করার কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু বলেন, ওই সম্পত্তি ১১জন ব্যক্তি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বাস-মিনিবাস অফিসের নামে দখল করে রেখেছেন। হাসপাতাল কতৃপক্ষ কিংবা পুলিশ এখন পর্যন্ত তাদের টিকিটিও ছুঁতে পারেনি। আমি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের একজন সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করার পর আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য পুলিশকে দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। অপর দখলদার ওয়েলডিং কারখানার মালিক আইয়ুব আলী বলেন, আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমতি নিয়ে কারখানা নির্মাণ করেছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবু সফি মাহমুদ বলেন, আমি লেপ্রোসি কেন্দ্রের দখল হয়ে যাওয়া সম্পত্তি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সব দখলদারকে স্থাপনা সরাতে বলেছি এতে কাজ না হলে সম্পত্তি দখলমুক্ত করার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল বলেন, আমাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করার পর আমি ওই দখলদারকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। অন্যান্যদের নামে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।


আরো সংবাদ



premium cement