২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আবারো পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলো ভারত

- সংগৃহীত

প্রথমবার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তের পাঁচ দিন পর শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভারতে আটকে পড়া পেঁয়াজ রফতানি শুরু করেন সে দেশের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আজ রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারো পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনো পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশ করেনি। হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে নতুন করে নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানির সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, ভারত সরকার গত সোমবার হঠাৎ করে কোনও কিছু না জানিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এর পরে শুক্রবার একটি নোটিফিকেশন জারি করে যে, গত রোববার টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজগুলো তারা রফতানি করবে। সেই মোতাবেক অনুমতি দেয়ায় শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মাত্র ১১টি ট্রাকে ২৪৬ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে। যে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ রফতানি করেছে, তার অধিকাংশ পেঁয়াজই ইতোমধ্যে পচে নষ্ট হয়ে পানি ঝরছে। এ কারণে আমদানিকারকরা এসব পেঁয়াজ নিয়ে এসেও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এখনও দুইশ’র বেশি পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এছাড়া যে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আমাদের এলসি দেওয়া রয়েছে, তার বিষয়ে  কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। এগুলোর বিষয়ে তারা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা কী করবে তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি। আজকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ প্রবেশ করবে কিনা সেই বিষয়টি আমাদের জানা নেই।

ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বরের আগে যেসব পেঁয়াজের এলসি করা ছিল, মূলত সেসব পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল ভারত সরকার। এ কারণে শনিবার বাংলাদেশে প্রায় ৩০০ টন পেঁয়াজ রফতানি করা হয়েছে। বাকি যে ১০ হাজার টনের জন্য এলসি করা আছে, সেসব পেঁয়াজ রফতানির জন্য নতুন করে ভারত সরকারের অনুমতি লাগবে।

এখন পর্যন্ত অনুমতি না হওয়ায় আজ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি করা হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement