ফুলবাড়িতে আবারো বন্যা, পানিবন্দী হাজারো পরিবার
- ফুলবাড়ি (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা
- ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:১১
গত কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ উপজেলায় আবারো বন্যা দেখা দিয়েছে। তৃতীয় দফা বন্যায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে পানিবন্দী মানুষদের দুর্ভোগ বেড়েছে। গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে এসব এলাকায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার চর গোরকমণ্ডল, চর পেচাই, গোরকমণ্ডল, ঝাউকুটি, পশ্চিম ফুলমতি, কিশামত শিমুলবাড়ি, যতিন্দ্র নারায়ণ, সোনাইকাজি, রোশন শিমুলবাড়ি, কবিরমামুদ, প্রাণকৃঞ্চ, জোৎকৃষ্টহরি, চর বড়লই, বাংলাবাজার, বড়ভিটা, চর ধনিরাম, ধনিরাম, খোচাবাড়ি, চর খোচাবাড়ি, রাঙ্গামাটি, ভাঙ্গামোর এলাকার প্রায় আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পাশে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সারোডোব এলাকায় বন্যার পানির স্রোতে বেড়িবাধ ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ওই এলাকার ৭০০ হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত, ৫০ হেক্টর সবজি ক্ষেত, ২০ হেক্টর মাষকালাই ক্ষেত ও ৩০ হেক্টর কলাবাগান তলিয়ে গেছে বলে উপজেলা কৃষি সূত্রে জানা গেছে।
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৮ মিলি মিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী তিন থেকে চার দিন আরো ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ফুলবাড়ি উপজেলার শিমুলবাড়ি এলাকায় শেখ হাসিনা ধরলা সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বানভাসিদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। আপাতত পানিবন্দীদের জন্য জি আর-এর কোনো বরাদ্দ নেই। তবে পানিবন্দী ২ হাজার ৫০০ পরিবারের তালিকা জেলায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা