১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

তিস্তার পানি বৃদ্ধি, বাঁধ ভেঙ্গে ১০ গ্রাম প্লাবিত

তিস্তার পানি বৃদ্ধি, বাঁধ ভেঙ্গে ১০ গ্রাম প্লাবিত -

তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া দ্বিতীয় দিনে রংপুরের গঙ্গাচড়ার ছালাপাক এলাকায় বাঁধের ৭০০ মিটার অংশ ভেঙ্গে আশপাশের ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে সদ্য লাগানো আমনের আবাদসহ ফসলি জমি। দুটি সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

এলাকাবাসি জানিয়েছেন, তিস্তার পানির তোড়ে ছালাপাক এলাকায় বাদশা নামের এক ব্যক্তি জমিজমার ভাঙ্গণ ও বন্যার পানি রোধে প্রায় ১০০০ মিটারের একটি বালির বাঁধ নির্মাণ করেন। পানি বাড়ায় রোববার ভোরে তার ৭০০ মিটার ধ্বসে যায়। এতে হুহু করে পানিতে তলিয়ে যায় বাঁধটির পুর্বপার্শ্বেও গজঘন্টা ইউনিয়নের ছালাপাক, রমাকান্ত, গাউছিয়া, আলাল, মহিশা শুর, আলমার বাজারসহ আশেপাশের ১০টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নুতন করে ৫ হাজার মানুষ। সেনাবাহিনী রোববার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কোমড় পানির নীচে সেখানকার সদ্য লাগানো আমন ধারের চারা, আমনের বীজতলা, বাদাম, পাটসহ ফসলি জমি। এছাড়াও গাউছিয়া যাওয়ার পথে একটি সড়ক এবং ছালাপাকের একটি সড়ক পানির তোড়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় সেখানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার মানুষ।

অন্যদিকে পানি বাড়ায় আলমবিদিতর ইউনিয়নের গাটুপাড়া এলাকায় ৫০ মিটার এবং ভুদভুদিপাড়ায় ২০ মিটার অংশ ভেঙ্গে গেছে। পাইকান জুম্মাপাড়ায় মাদরাসার সামনে ধ্বস ধরায় আতংকে আছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও মসজিদ। এছাড়াও নোহালী ইউনিয়নের আলসিয়া পাড়ায় তিস্তা ডান তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ঘুটামারি এলাকার টি বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। পানি উন্নযন বোর্ড সেখানে জিওব্যাগ ফেলে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।

এসব বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, পানি বাড়ায় রংপুরের তিনটি উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের আংশিক এলাকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় ভাঙ্গণ ধরেছে। সেসব এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement