১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

'আঁধার ঘরে চাঁদের আলো'

আহাদুল ইসলাম নিশাদ - ছবি : নয়া দিগন্ত

আহাদুল ইসলাম নিশাদ। দিনে বাবাকে পত্রিকা বিক্রিতে সাহায্য করতো। আর রাতে পড়ার টেবিলে মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা। একদিন দুই দিন নয়, দিনের পর দিন বাবাকে কাজে সহায়তার পাশাপাশি পড়ালেখাও চালিয়ে গেছে সে। সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় সে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করেছে।

মেধাবী আহাদুল ইসলাম নিশাদ রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বেলাল হোসেনের ছেলে। তিনি পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালান। মা মোসলেমা বেগম গৃহিনী।

মিঠাপুকুর সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে নিশাদ এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট সে।

ছেলের অভাবনীয় সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা বেলাল হোসেন। বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতা ছিল সবচেয়ে বেশি। আমার স্ত্রীরও অবদান রয়েছে ছেলের ভাল ফলাফলে। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

তার বড় ছেলে মোস্তাফিজার রহমান বাড়িতেই কাজ করে। মেঝ ছেলে মিরাজ মিয়া পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করা নিশাদ তার ফলাফলের জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মা-বাবা অবদানের কথা স্মরণ করে। সে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চায়।

মিঠাপুকুর সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবলু মিয়া বলেন, পত্রিকা বিক্রেতা বেলাল হোসেনের ছেলে নিশাদ শত কষ্টেও পরীক্ষায় খুব ভাল ফল করেছে। সে সবার মুখ উজ্জ্বল করেছে। বিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে এনেছে। তার মঙ্গল কামনা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement