নবাবগঞ্জে মানব সেবার দৃষ্টান্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার
- নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
- ০১ জুন ২০২০, ২০:১৩, আপডেট: ০১ জুন ২০২০, ২০:০৪
মানুষ মানুষের জন্য এটা শুধু প্রবাদ বাক্যই নয়, এর বাস্তব দৃষ্টান্ত হলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: নাজমুন নাহার। তিনি এ উপজেলায় যোগদান করার পর থেকেই মানব সেবায় বিভিন্নভাবে অবদান রেখেই চলেছেন। কর্মজীবনে শত ব্যস্থতা থাকার পরও সরকারের এই কর্মকর্তা সমাজের ভাল কাজগুলো করতেও ভুলে যাননি।
দেশের অন্যান্য উপজেলার মতো নবাবগঞ্জ উপজেলায়ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, জনপ্রতিনিধিগণকে সঙ্গে নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দিনে রাতে অবিরামভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলশ্রুতিতে উপজেলার করোনাভাইরাস আক্রান্ত তিন যুবক সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে ডাক্তারি সনদ নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। আক্রান্ত এলাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রম সদা সর্বদা জোরদার রেখেছিলেন। এ সময় তিনি সংবাদ কর্মীদের জানান নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও অর্পিত দায়িত্ব ও জনসাধারনের কোনোভাবেই ক্ষতি হতে দিব না।
জনসাধারনের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কর্মসূচী, কর্মপরিকল্পনা সুচারুভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছেন। কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী তিনি। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলার ৮নং মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রহিম বাদশা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুন্দরভাবে প্রতিটি কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি ঈদুল ফিতরের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক খাদ্য সহায়তার উপহার প্রতিটি ইউনিয়নে পৌঁচ্ছে দিতে এলাকার সংসদ সদস্য মো: শিবলী সাদিক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আতাউর রহমান ও সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাসহ নয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে ত্রাণ বিতরণ সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করেছিলেন।
গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে ওই ইউনিয়নে ৯০০ জন হত দরিদ্র মানুষের মাঝে ঈদ উৎসবের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার তুলে দেয়ার জন্য রঘুনাথপুর উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে উপহার সামগ্রী তুলে দেন নির্বাহী অফিসার মোছা: নাজমুন নাহার। এ সময় ছোট মহেশপুর গ্রামের দুপায়ে রোগাক্রান্ত একরামুল হক লাইনে ছিলেন বসে তার পা দিয়ে একটু একটু করে রক্ত ঝরছিল। এমন দৃশ্য দেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: নাজমুন নাহার তার অধিনন্থ কাউকে নির্দেশ না করে নিজেই গাড়ি থেকে জীবাণুনাশক বোতল থেকে তা বের করে নিজ হস্তেই ওই অসহায় বৃদ্ধের পায়ে ছড়িয়ে দিলেন। এতে করে ওই বৃদ্ধ ব্যাথার যন্ত্রণা থেকে আরোগ্য হলেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারে এমন মানবিক কাজ দেখে অনেকেই নিজেকে অন্যের জন্য সেবা দিতে গ্রহণ করলেন দিপ্ত শপথ। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রঘুনাথপুর মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি ডা: মোশারফ হোসেন, ট্যাগ অফিসার হালিমুর রশিদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোছা: পারুল বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল কবির রাজুসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপজেলা নিবার্হী অফিসারের এমন কাজের প্রশংসা করেছেন।
এদিকে উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের লাঠিদাম গ্রামের ধানক্ষেতে এক নবজাতক শিশুকে ফেলে দিয়ে চলে যান পাষাণ হৃদয়ের মা। শিশুটির উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার চলে যান উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স। সেখানে গিয়ে শিশুটিকে টেনে নেন কোলে ও মাতৃসেবার দায়িত্ব নিয়ে নেন। এ সংবাদটি প্রিন্ট, ইলেকট্রিক, মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটা করে মানবিক সংবাদ পরিবেশিত হয়েছিল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মানব সেবার কাজ যেন আরো বৃদ্ধি পায় এবং সততা ও নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারেন এমন দোয়া করেছেন এলাকাবাসী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা