ভূরুঙ্গামারীতে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সীমাহীন ভোগান্তি
- ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা
- ২৪ মে ২০২০, ১১:৫৩, আপডেট: ২৪ মে ২০২০, ১১:৪৩
সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতে দিনের পর দিন লোডশেডিং আর ব্যবহারের অধিক অতিরিক্ত ইউনিট যুক্ত করে তৈরি করা বিদ্যুৎ বিলের কারণে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ভূরুঙ্গামারীতে দীর্ঘদিন যাবত সামান্য বৃষ্টি-বাতাস শুরু হলেই বিদ্যুৎ বিভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রাখে এতে প্রতিকুল পরিবেশে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির সীমা থাকে না। রমজান মাসের শেষ দিকে এসে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে পৌছায়।
গত বুধবার বিকেল থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত উপজেলার অধিকাংশ এলাকা লোডশেডিংয়ের কারণে অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। এতে রোজাদার মানুষদের ইফতার, সেহরি ও তারাবির নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে রক্ষিত পণ্য সামগ্রী নষ্ট হবার যোগাড়। ব্যাংক বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের অভাবে অনেকে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারেনি।
রাশেদ নামের একজন ব্যাংক হিসাবধারী জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় তিনি এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারেননি। শনিবার বিকেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত ছিল। এদিনও অনেকে অন্ধকারে তারারির নামাজ আদায় করেছেন।
অপরদিকে বিদ্যুৎ অফিস থেকে দেয়া বিদ্যুৎ বিল দেখে অনেক গ্রাহকই হতভম্ব। গ্রাহকদের দাবি তাদের যে বিল দেয়া হয়েছে তা ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে অনেক বেশি। এতে তাদের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল গুনতে হচ্ছে। আবাসিক মিটারের ক্ষেত্রে ব্যবহারের চেয়ে অধিক ইউনিট যোগ করে বিল তৈরি করায় ধাপ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এতে একজন গ্রাহককে প্রকৃত বিলের চেয়ে বেশি বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ অফিসে বিল সংশোধন করতে আসা এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তার সেচ সংযোগে ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে অতিরিক্ত প্রায় ৩০০ ইউনিটের মূল্য যোগ করে তৈরি করা বিল তাকে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
আলম হোসেন নামের এক গ্রাহকের জানুয়ারি মাসের বিদ্যুৎ বিলে দেখা গেছে বিল পরিশোধের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস।
ভূরুঙ্গামারী জোনাল অফিসের ডিজিএম কাউসার আলী বুধবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন এরপর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। তবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সমস্যার কারণে কিছুকিছু এলাকার গ্রাহক শুক্রবার বিদ্যুৎ না পেয়ে থাকতে পারেন। ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার ফলে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
অতিরিক্ত ইউনিট যুক্ত বিল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে, অনেক গ্রাহকের বিল কিন্তু ব্যবহারের চেয়ে কমও এসেছে। জানুয়ারি মাসের বিল পরিশোধের তারিখ চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস প্রসঙ্গে বলেন সফটওয়্যার সমস্যার কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে। গ্রাহক বিলের কপি অফিসে নিয়ে এলে সমস্যার সমাধান করে দেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা