২ এপ্রিল থেকে রংপুরে করোনার পরীক্ষা শুরু

ছয় ঘণ্টায় করোনা সন্দেহ আক্রান্ত ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ কলেজে স্থাপনের অপেক্ষায় থাকা পিসিআর মেশিনে। সোমবার মেশিন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে করা হয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নীতিমালা। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট টেকলোজোজিস্ট ও প্রফেসরদরে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। সব মিলিয়ে আগামী এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে রংপুর বিভাগের করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের শরীরের নমুনা পরীক্ষা শুরুর আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দশটায় রংপুর মেডিকেল কলেজে এসে পৌছায় বহুল কাঙ্খিত করোনা নমুনা পরীক্ষার পিসিআর মেশিন। তখন থেকেই কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবরেটরীতে স্থাপনের কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। আর তা তদারকি করছে করেজের মাইক্রোবায়োলোজি, ভাইরোলোজি ও বায়োকেমিস্টি বিভাগ। ঢাকা থেকে সাপ্লাইয়ের লোকজন এসে করেন সফটওয়্যার ইন্সটলের কাজও। সোমবার পুরোকাজটি সম্পন্ন হয়।

রংপুর গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদার আকবর আলী জানান, গত ৫ দিনে আমরা রাত দিন কাজ করে মেশিনটি স্থাপন করেছি। এখন ল্যাবরেটরি প্রস্তুত।

রংপুর গণপূর্ত বিভাগের এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মিন্টু রায় জানান, মেশিন সাপ্লাই প্রতিষ্ঠানের লোকজন এবং কলেজের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহযোগিতায় গত রাতদিন কাজ হয়েছে। এখন মেশিনের পুরো ল্যাবরেটরি প্রস্তুত করে অধ্যক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাব টেকনোলজিস্ট আতোয়ার রহমান জানান, আমরা রাতেও ডিউটি পালন করেছি। মেশিন বসানোর জন্য। এখন সব কিছু প্রন্তুত।

কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডাক্তার মো. মোস্তাকিমুর রহমান জানান,
দুই-তিনদিনের মধ্যেই এসে পৌঁছাবে প্রয়োজনীয় কিট। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকায় গিয়ে টেকনোলোজিস্টদের প্রশিক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে ঢাকার টেকনোলজিস্টরা রওনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার রংপুরে এসে তারা সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দিবেন।

সব প্রস্তুতির কাজ শেষে ২ এপ্রিল থেকে নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু করার কথা জানিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ
প্রফেসর ডাক্তার এ কে এম নুরুন্নবী লাইজু জানান, এই মেশিনে চার থেকে ছয় ঘণ্টায় ৯৬ জনের করোনা নমুনা পরীক্ষা সম্ভব। সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যেই করা হয়েছে নীতিমালা। সেই নীতিমালার আলোকে রংপুর অঞ্চলের সন্দেহভাজনদের পরীক্ষা করা হবে সুশৃঙখলভাবে।

তিনি আরও জানান, পরীক্ষার জন্য টেকনোলজিস্ট এবং প্রফেসররা প্রস্তুত, তবুও তাদেরকে আরো ট্রেইনআপ করতে প্রশিক্ষণও দেয়া হবে।

সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের রেফারেন্সের ভিতিত্বে এখানে করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৫৪ উপজেলার করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজন রোগীরা এই সুবিধা পাবেন।