২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সুস্থ হয়ে স্কুলে যেতে চায় আবিদা

আবিদা - ছবি : নয়া দিগন্ত

শিশু আবিদার কাছে কেউ গেলে, সে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। আগন্তুককে একের পর এক প্রশ্ন করে, আমি কোন দিন ভালো হবো? কোন দিন স্কুলে যাবো? কোনদিন পড়তে বসবো?

এখন হৃদরোগ নিয়ে কখনো হাসপাতালে, আবার কখনো ঘরেই কাটছে তার দিন। তার ইচ্ছে সুস্থ্য হয়ে স্কুলে যাওয়ার, পড়ার টেবিলে বসার, সহপাঠিদের সাথে স্কুলের মাঠ কিংবা বাড়ির আঙ্গিনা কিংবা সারা পাড়া দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রাখার।

আবিদা আজমীর রংপুর মহানগরীর ৯নং ওয়ার্ডের চান্দকুটির সৎ বাজার এলাকার আকতারুল ইসলামের কন্যা। স্থানীয় সোনার চাঁদ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সে। পাঁচ বছর ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত। কিন্তু তাতে পড়ালেখা ছাড়েনি আবিদা। যদিও স্কুলে যাওয়া হয় না আর তার। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রবিন্দ্র নাথ বর্মনের অধীনে চিকিৎসাধীন আছে এখন। সেখান থেকে তাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসকরা তার ওপেন হার্ট সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন। সেজন্য প্রয়োজন প্রায় পাঁচ লাখ টাকার।

আবিদার মা মনিরা খাতুন জানান, আমার দুই ছেলে এক মেয়ে। মেয়েটি আমার খুবই লক্ষ্ণী। পাড়ায় সবাই ওকে খুব ভালবাসে। খুবই ভদ্র। স্কুলেও ভালোই করছিল মেয়েটা আমার। হঠাৎ করে হার্টের অসুখ হলো। পাঁচ বছর ধরে এই রোগে ভুগছে সে। তারপরেও পড়ালেখা বাদ দেয় নি। এখন ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে উঠেছে। কিন্তু কাহিল হয়ে পড়েছে। চিকিৎসকরা বলেছে, ওপেন হার্ট সার্জারি করাতে। কিন্তু ভিটেমাটি বিক্রি করেও ওই টাকা জোগাড় করতে পারছি না। সমাজের যারা বিত্তবান মানুষ আছেন, তারা যদি আর্থিক সহযোগিতা করতেন তাহলে হয়তো মেয়েটা আমার বেঁচে যেতো।

আবিদার বাবা আকতারুল ইসলাম জানান, আমি দিন মজুরি করে কোনোমতে জীবন যাপন করি। কোনোভাবেই আমি এক টাকা জোগাড় করতে পারছি না। মেয়েটার মুখের দিকে তাকালে বুক ধড়ফড় করে উঠে। মেয়েটার মুখে হাসি নেই। আগে সবার আগে স্কুলে যেতো। পাড়া মাতিয়ে রাখতো। এখন সেই মেয়েটা আমার কথা বলার শক্তিও হারাচ্ছে। আমি সরকার এবং সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা কামনা করছি। সবার সহযোগিতায় আল্লাহর ইচ্ছায় আমার মেয়েটাকে সুস্থ করে আবার স্কুলে পাঠাতে চাই।

আবিদাকে আর্থিক সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানা- নয়া দিগন্ত, রংপুর অফিস, ০১৭১২-১১১৪১৯ অথবা বাবা আকতারুল ইসলাম, হিসাব নম্বর ০০২০৯৭৯৭৯, সোনালী ব্যাংক, হারাগাছ শাখা, রংপুর।


আরো সংবাদ



premium cement