পরকীয়া সন্দেহে নোট লিখে রেখে স্ত্রীকে খুন!

নীলফামারীর ডিমলায় পরকীয়া প্রেমের সন্দেহে হ্যান্ডনোট লিখে রেখে স্ত্রীকে খুন করেছেন তার স্বামী। নিহতের নাম মহেছেনা বেগম (৩৫)। তিনি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিঘাট গ্রামের মৃত শহর উল্লাহর পুত্র মোফাজ্জল হোসেনের (মোফা) দ্বিতীয় স্ত্রী।

বুধবার দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ছাতনাই বালাপাড়া (হোসেনের মোড়) গ্রাম থেকে নিহতের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৮ বছর আগে প্রেমের সূত্রে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিঘাট গ্রামের মৃত শহর উল্লাহর পুত্র মোফাজ্জল হোসেনের সাথে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ছাতনাই বালাপাড়া (হোসেনের মোড়) গ্রামের মৃত বানার উদ্দিনের তালাকপ্রাপ্তা কন্যা মহেছেনা বেগমের (৩৫) বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পরে প্রায় সময়ই নিহতের স্বামী জয়পুরহাট ও ঢাকা শহরে শ্রমিকের কাজের জন্য অবস্থান করতেন।

নিহতের বড় ভাই গোলাম মোস্তফা জানান, এক সপ্তাহ আগে তার বোনের স্বামী মোফাজ্জল হোসেন বাড়িতে এলেও বাড়িতে রাত না কাটিয়ে উপজেলার ডাঙ্গারহাটে অবস্থান করতেন। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে ধারালো ছোরা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি তার স্ত্রী মহেছেনাকে খুন করে পালিয়ে যান।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে মোফাজ্জল হোসেনের হাতে লেখা একটি হ্যান্ডনোট উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ওই হ্যান্ডনোটে আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিনজনকে তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে ওই তিনজনের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।

ডিমলা থানার এসআই আতিকুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা রুজু হয়নি। প্রাথমিকভাবে একটি জিডি করা হয়েছে। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত কথিত হ্যান্ডনোটে কি লেখা রয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কি লেখা রয়েছে তা আমি জানি না। সেটি ওসি স্যারের কাছে রয়েছে।

ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন শেখ খুনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হ্যান্ডনোট বলতে একটি হাতে লেখা কাগজ পাওয়া গেছে, তবে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কিছু বলা যাবে না। তবে খুনিকে গ্রেফতার করলেই সব জানা যাবে।