১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নিখোঁজের ৪ দিন পর স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার

- ফাইল ছবি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মমতাজ আক্তার জেমি নামের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজের চারদিন পর পুলিশ তার হাত বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে। উপজেলার দুর্গম চরঘুঘুমারী চরের ব্রহ্মপুত্র নদের একটি কাশবন থেকে শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই স্কুলের পোশাক পরা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে।

গত বুধবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় জেমি। তবে এর সঙ্গে কারা জড়িত তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্য মতে, ওই স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এরপর লাশ ব্রহ্মপুত্র নদের চরের ওই কাশবনে গুম করা হয়। নদে মাছ ধরতে যাওয়া একদল জেলেরা সন্ধার দিকে ওই লাশের খোঁজ পান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে নিহতের পরিবার গিয়ে লাশ সনাক্ত করে এবং থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। থানা থেকে ঘটনাস্থল প্রায় ১০/১২ কিলোমিটার। ফলে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পুলিশের সময় লাগে।

নিহত স্কুলছাত্রীর বাবার নাম সাহালম মিয়া একজন দিনমজুর। মা নুরজাহান বেগম অনেক আগে মারা গেছে। চরঘুঘুমারী গ্রামে তাদের বাড়ি। মমতাজ আক্তার জেমি পাখি উড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। পায়ে হেঁটে স্কুলে যাতায়াত করত সে। এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিত সে।

স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, জেএসসি টেস্ট পরীক্ষা শেষে প্রতিদিনের মতো ওই দিন স্কুল থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু সে আর বাড়ি ফেরেনি। এ চারদিন বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে কিন্তু তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পাখি উড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান দুলাল ঘটনাস্থল থেকে জানান, মেয়েটির গায়ে স্কুল ড্রেস এবং তার দু’হাত বাঁধা। ধারনা করা হচ্ছে একাধিক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। লাশের পচা গন্ধ ছড়ছে। এতে বোঝা যায় যেদিন নিখোঁজ হয় ওই দিনই তাকে খুন করা হয়েছে।

নিহত স্কুলছাত্রীর বাবা সাহালম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ভালোভাবে কথা বলতে পারেননি। কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সেটাও বলতে পারেননি। তবে স্থানীয়দের মতে এলাকার বখাটেরা মেয়েটিকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। বখাটেপনার কারণেই এ ঘটনা ঘটছে-এমনটাও আলোচনা হচ্ছে।

রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনাস্থল থেকে জানান, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ উদ্ধার হোক তারপর তদন্তে সব কিছু বের হয়ে আসবে।


আরো সংবাদ



premium cement