২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আপত্তিকর অবস্থায় আটক অধ্যক্ষ ও অধ্যাপিকাকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ

আপত্তিকর অবস্থায় আটক অধ্যক্ষ ও অধ্যাপিকাকে বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ - ছবি : নয়া দিগন্ত

সহকর্মী অধ্যাপিকাকে নিয়ে ফূর্তি করার সময় জনতার হাতে আটক অধ্যক্ষকে বহিষ্কারের দাবিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং অধ্যক্ষের কক্ষের তালা খোলায় বাধা দিয়েছে।

আজ সোমবার সকালে কলেজ চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল করে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে অচিরেই অধ্যক্ষ ও অধ্যাপিকাকে বহিষ্কারের দাবি জানায়। বিক্ষোভে কলেজজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের আইসিটি বিষয়ের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

খবর পেয়ে সৈয়দপুর সরকারী কলেজের সভাপতি ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার ও সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দেন।

এসময় কলেজ সভাপতি এস এম গোলাম কিবরিয়া আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। এজন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সৈয়দপুর থানার তদন্ত অফিসার আবুল হাসনাত ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেহেনা ইয়াসমিন। তার এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছে।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার বিকাল ৫টায় সৈয়দপুর শহরের শহীদ ক্যাপ্টেন সামসুল হুদা মৃধা সড়কে নির্মিতব্য শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন স্মৃতিস্তম্ভ পরিষদের অফিসে সৈয়দপুর কলেজের অধ্যক্ষ সাখাওয়াত হোসেন খোকন তার সহকর্মী একই কলেজের সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা সুলতানা নওরোজসহ আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে আটক হন। এ ঘটনার অর্ধ উলঙ্গ ছবি ও ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়, যা আজ সৈয়দপুর শহরের আলোচিত বিষয় হিসেবে সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

এদিকে, এ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মীদের নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে এবং দৈনিক নয়া দিগন্ত সৈয়দপুর উপজেলা সংবাদদাতা মো: জাকির হোসেনকে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়া হয়েছে।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা জানান, অধ্যক্ষ ও অধ্যাপিকার অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের কারণে কলেজ চত্বরে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে কলেজে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম গোলাম কিবরিয়া মুঠোফোনে বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আলোচিত বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি এবং এনিয়ে কলেজ চত্বরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement