১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বখাটের ছুরিকাঘাতে আহত সেই নার্সের মৃত্যু

নিহত তানজিনা আক্তার - ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হওয়া তানজিনা আক্তার (২৪) নামের এক নার্সের মৃত্যু হয়েছে। সাত দিন ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

তানজিনা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালান্দর মাদরাসা পাড়ার আব্দুল হামিদের মেয়ে এবং সে ঠাকুরগাঁও গ্রামীন চক্ষু হাসপাতালের নার্স হিসেবে কর্মরত ছিল।

গত ২০ জুন সকালে বখাটে আরমান ইসলাম জীবন (১৯) নামে এক বখাটের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয় তানজিনা।

এ ব্যাপারে ওই দিন সন্ধ্যায় তানজিনার বাবা আব্দুল হামিদ জীবনের নাম উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণী ও সূত্রমতে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালের নার্স তানজিনা আক্তার প্রতিদিন সকালে হাসপাতালে যাওয়ার সময় রাস্তায় তাকে ও অন্যান্য মেয়েদেরকে বখাটে আরমান ইসলাম জীবন ও তার কিছু সহযোগী উত্যক্ত করতো। এসব দেখে তানজিনা তাদের বাধা দিতো এবং বিষয়টি তাদের পরিবারে জানানোর কথা বলতো।

ঘটনার দিন তানজিনা কর্মস্থলে যাবার উদ্দেশে তার বাড়ি থেকে বের হয়। সে সময় বখাটে জীবন ও তার সহযোগীরা তানজিনার পথ রোধ করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ডান হাতে, বুকে এবং পেটে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তানজিনা চিৎকারে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তানজিনাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে আইসিইউতে এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পরে বৃহস্পতিবার সকালে তানজিনার মৃত্যু হয়।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, তানজিনার মৃত্যুর কথা শুনে মর্মাহত হয়েছি। এজাহারভুক্ত আসামি জীবনকে আমরা ঘটনার দিনই গ্রেফেতার করেছি। এখন তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল