ঘূর্ণিঝড়ে বগুড়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
প্রকাশ হয়নি দৈনিক পত্রিকা- বগুড়া অফিস
- ২৮ মে ২০২৪, ১৭:৪৯
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বগুড়া জেলায় গাছপালা, ঘরবাড়ি, জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষ ২৫ থেকে ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুত না পেয়ে চরম দূর্ভোগের শিকার হন।
নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সোমবার রাত থেকেই উপজেলাজুড়ে বিদ্যুৎ ছিল না। অনেকে ধান কেটে খেতে শুকাতে দিয়েছেন। আবার অনেকে ধান কেটে মাড়াই করছেন। দেরিতে লাগানো ধান কাটতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেক কৃষক।
রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে। অনেক ক্ষেতে শুকাতে দেয়া কাটা ধান পানিতে ভাসছে। ঝড়ো বাতাসে ধান গাছ নুইয়ে খেতে জমে থাকা পানির মধ্যে পড়েছে। বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হয়েছে।
বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর নন্দীগ্রাম জোনাল অফিসের ডিজিএম শাহাদৎ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসের কারণে ৩৩ কেভির লাইনে গাছের ডাল হেলে পড়ায় বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। পরে চালু করা হয়েছে।
জেলার কাহালু উপজেলায় সোমবার ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে ঝড়ে উপড়ে পড়ে গাছপালা। মাঠে মাঠে নুয়ে পড়েছে বোরো ধান। ঝড়ে ভেঙে পড়েছে গাছের ডালপালা, বিদ্যুৎ, ইটারনেট ও ডিস সংযোগের তার। ঝড়ে উড়ে গেছে কারো কারো ঘরের ছাউনির টিন। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। নেসকোর আওতাধীন বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হলেও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ দুপুর পর্যন্ত চালু হয়নি।
পল্লী বিদ্যুৎ কাহালু জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুন রহমান সরকার জানান, আমাদের মেইন লাইন চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন সাইডে বিচ্ছিন্ন হওয়া সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।
এ দিকে, ধুনট উপজেলায় ঝড়ে বোরো ধান ও গাছপালা ক্ষতি হয়েছে।
বগুড়া শহরে সোমবার সকালে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়। সেইসাথে সকাল থেকেই টানা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। দিন ও রাতে ঝড়ো বাতাসে সদরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়।
এ দিকে, সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা থেকে কোথাও কোথও ৩০ ঘণ্টা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুত বন্ধ ছিল। বিশেষ করে শহরের বাদুরতলা শাপলা মার্কেট প্রেস পট্রি, বাদুর তলা প্রেসপট্রি বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে বগুড়া থেকে ১০-১২টি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ হতে পারেনি।
তবে, বিকল্প ব্যবস্থায় শুধুমাত্র দৈনিক করতোয়া পত্রিকা প্রকাশ হয়েছে। বিদ্যুত অফিসে গ্রাহকরা বার বার অভিযোগ দিলেও তারা কোন উত্তর দিতে পরেনি কখন বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। এমনকি সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পিডিবির নেসকো পিএলসি অফিসও অন্ধকারে ডুবে ছিল। এভাবে বিদ্যুত অভাবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল এরপর সন্ধা ৭টার দিকে শহরের সূত্রাপুর, জলেশ্বরীতলা এলাক্সাহ কিছু ভিআইপি এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়।
তবে, বেশিভাগ এলাকায় বিদ্যুত ছিল না। তাই পানি নিয়ে ওই এলাকার মানুষ চরম সমস্যায় পড়েন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা