নাটোরে এক প্রার্থীর সমর্থককে মারপিট করায় অপর প্রার্থী গ্রেফতার
- নাটোর প্রতিনিধি
- ১০ মে ২০২৪, ১৮:২৯
নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত এক প্রার্থী ও কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নিজের চেম্বারে মারপিটের ঘটনা করা মামলায় পরাজিত অপর প্রার্থী যুবলীগ নেতা জামিল হোসেন মিলন ও তার গাড়ি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, নির্যাতিত রুবেলের বাবা আলম গাজী ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করলে ওই মামলায় জামিল হোসেন মিলন ও তার গাড়ি চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিকেলে গ্রেফতার দুজনকে নাটোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামিদের আইনজীবী তাদের জামিন আবেদন করলে বিচারক শানু আকন্দ তাদের উভয়ের জামিন প্রদান করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের দোয়াত কলম মার্কায় সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী কর্মী হিসেবে কাজ করেন শহরের তালতলা হাফরাস্তা এলাকার আলম গাজীর ছেলে মো: রুবেল (৩০)। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হোসেন মিলন ও তার সমর্থকরা রুবেল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তুলে নিয়ে গিয়ে পরাজিত প্রার্থী মিলনের চেম্বারে ব্যাপক মারপিট করা হয় রুবেলকে। তার হাত, পা ও মাথায় গুরুতর জখম করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে নাটোরের গোয়েন্দা পুলিশে খবর দেন আলম গাজী।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিলনের চেম্বার থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় রুবেলকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মিলনের গাড়িচালক আবুল বাশারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতেই এ বিষয়ে নাটোর থানায় আলম গাজী তার ছেলে রুবেলকে হত্যার উদ্দেশে বাড়ি থেকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে পরাজিত অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হোসেন মিলন, তার গাড়িচালক আবুল বাশার, অনুসারী রাকিব পাটোয়ারী, রকি সরদার, সনি সরদার, মো: বমি, মুরশেদ, ইসমাইল, অন্তর, শাহাদত হোসেন মনু, মো: সুজন ও রাসেদ পাটোয়ারীসহ অজ্ঞাত আরো তিন-চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই মিলনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে রাতে এলাকায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত করে।
নাটোর আদালতের জিআরও খাদেমুল ইসলাম জামিল হোসেন মিলন ও তার গাড়ি চালককে আদালত জামিন প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা