মালয়েশিয়ায় এক রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃত্যু
- মান্দা (নওগাঁ) সংবাদদাতা
- ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৪৮, আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৪৮

সাড়ে ৪ লাখ টাকা ঋণ করে মালয়েশিয়ায় গিয়ে কোনো টাকা আয় করার আগেই আরো এক রেমিট্যান্স যোদ্ধা সাইফুল ইসলাম (৪৫) নামে এক যুবক মৃত্যুবরণ করেছে। আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি মালয়েশিয়ায় মারা যান।
মৃত সাইফুল নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউপির প্রসাদপুর গ্রামের মরহুম আবদুর রহমানের ছেলে। দেশে তার মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই নাতি রয়েছে।
পরিবার ও মালয়েশিয়ার কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, মাত্র দুই মাস আগে কলিং বা টুরিস্ট ভিসা ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়ায় যান। দেলুয়াবাড়ি এলাকার এক আদম ব্যাপারির সহযোগিতায় কাজে গিয়ে তিনি প্রায় দুই মাস বসেই ছিলেন। এতে তার প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় সব টাকা ধারদেনা ও ঋণ করে দুই বছরের চেষ্টায় পরিবারের একটু স্বচ্ছলতার আশায় মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে কাজে যোগদানের আগে নিজ এলাকার লায়েব আলী মন্ডলের সাথে থাকতেন। গত দু’দিন আগে রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে শ্রমিকের কাজ পান। সেই সুবাদে এলাকার আরেক শ্রমিক তোফাজ্জল হোসেন তোফার কাছে গিয়ে ওঠেন। তোফার সাথে রাজমিস্ত্রীর যোগাড়ির কাজ করেন মাত্র দু’দিন। আজ বুধবার সকালে কাজে গিয়ে অসুস্থ (শরীর খারাপ লাগায়) হয়ে পড়লে কাজ করতে পারবেন না বলে চলে আসেন। পরে দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য তোফা ঘরে গিয়ে দেখেন সাইফুল মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন। কিভাবে তার মৃত্যু হলো, তা সঠিকভাবে এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে স্ট্রোক করে মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, কাজে গিয়ে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের পরে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে লাশ দেশে আসা নিয়ে পরিবারের মধ্যে নানা ধরণের সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। লাশ আদৌ বাংলাদেশে আসবে কিনা সন্দেহ।
পরিবারের সদস্যরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সাড়ে চার লাখ টাকা ধার-দেনা ও ঋণ করে বিদেশ পাঠিয়ে এখন তারা নিঃস্ব। কোনো টাকাই পেলাম না। তার আগেই এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পরিবার। কিভাবে সংসার চলবে আর কিভাবে এত ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন। এখন তারা পথে বসেছেন। এমতাবস্থায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সহযোগিতায় মৃত সাইফুলের লাশ তারা ফেরত চান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা