২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাবিতে ১৭টি হলের খাবার ঝুলিয়ে অভিনব প্রতিবাদ

রাবিতে ১৭টি হলের খাবার ঝুলিয়ে অভিনব প্রতিবাদ। - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের বর্ধিত মূল্য কমানো ও আবাসিক হলগুলোতে খাবারের মান বাড়ানোর দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা।

রোববার (৪ জুন) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের ডাইনিং থেকে খাবার এনে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে টাঙানো হয় এবং প্রতিটি খাবারে ওপর সাদা কাগজে হলের নাম লিখে রেখেছেন সংগঠনের সদস্যরা। এ সময় খাবারের মান পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে আহ্বান জানান তারা।

এ সময় ‘ডাইনিং ও ক্যাফেটারিয়ার খাবারের পর্যাপ্ত ভর্তুকি দাও’, ‘ক্যাম্পাসে খাবারের মূল্য কমাও ও মান বাড়াও’, ‘পর্যাপ্ত সাধারণ মিল নিশ্চিত করো’, ‘খাবারের মান বৃদ্ধি করে পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত করো’, ‘খাবারের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করো’ এমন সব প্ল্যাকার্ড প্রর্দশনীর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান তারা।

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, দেশে মুদ্রাস্ফীতির কারণে সাধারণ পরিবারগুলোর দৈন্য দশা। সেখানে প্রশাসন খাবারের মান নিম্নমুখী করে ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার দরকার। প্রশাসন অবকাঠামো দিকে নজর দিচ্ছে। ক্যাফেটারিয়ায় এসির ব্যবস্থা করা হচ্ছে অথচ শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন পুষ্টিসমৃদ্ধি খাবার। প্রশাসন কাজী নজরুল মিলনায়তনের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ২০ কোটি টাকা বাজেট করে, কিন্তু তারা ক্যাম্পাসের ৩৮ হাজার শিক্ষার্থীর পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের নিশ্চয়তা তারা দিতে পারে না।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানিব বলেন, মানহীন খাবার গ্রহণ করায় আমরা পড়াশোনায় ফোকাস করতে পারছি না। এছাড়াও দাম বৃদ্ধির ফলে অনেক মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীর জীবনে ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে খাবারের দাম কমিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তুকি দিয়ে খাবারের মান নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রাবেয়া মুহিব বলেন, আমরা এখানে পড়াশোনা করতে এসেছি। কিন্তু আমাদের হলের ডাইনিং ও ক্যাফেটেরিয়ায় যে নিম্নমানের খাবার দেয়া হয় তা খেয়ে বেঁচে থাকায় অসম্ভব। শিক্ষার্থীরা তো পড়াশোনা, গবেষণা ও বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে, তারা কিভাবে বেঁচে থাকবে। তাছাড়া এসব খাবারের কোনো তদারকিও করা হয় না বরং দাম বাড়ানো হয়েছে। এসব খাবার খেয়ে একটি পঙ্গু জাতি ছাড়া আর কিছুই গঠিত হবে না।

রিয়ান আলী নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, খাবারের সমস্যা, খাবার নিম্ন মানের, দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এখানে দাঁড়িয়েছি। দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম যখন অতি মারাত্মক ঠিক তখনই ক্যাফেটারিয়ার খাবারের দাম বাড়ানো হচ্ছে। হলগুলো এবং ক্যাফেটেরিয়াতে যে খাবার সরবরাহ করা হয় তা হচ্ছে শূন্য ক্যালোরির খাবার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনই শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে ভাবে না।


আরো সংবাদ



premium cement