২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফুলজোড় নদীর বিষাক্ত বর্জ্যে ক্ষতিগ্রস্থরা রাস্তায়

ফুলজোড় নদীর বিষাক্ত বর্জ্যে ক্ষতিগ্রস্থরা রাস্তায় - ছবি : নয়া দিগন্ত

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ফুলজোড় নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করা খামারিরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। এতে মানববন্ধনও করেছেন তারা।

বুধবার (৩১ মে) সকালে এই মানববন্ধন করেন স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা।

বিষাক্ত বর্জ্যে থামছেই না ফুলজোর নদীতে মাছ মরা। চাষিদের হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকার ক্ষতি। আগেও বগুড়া জেলার শেরপুরে ক্ষতিগ্রস্থ মাছ চাষি ও সচেতন মহল নদী দূষণ নিয়ে মানববন্ধন করেন। তারপরেই রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন করেন সচেতন মহল ও ক্ষতিগ্রস্থরা।

উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ফুলজোর নদীর পানি গত কয়েকদিন থেকে বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। নদীর পানি দূষণের ফলে খাঁচায় চাষ করা মাছ ও নদীর নানা প্রজাতীর জলজপ্রাণী মারা যাচ্ছে। এতে করে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে মৎস্য চাষীদের। পানি দূষণের ফলে পরিবেশ পড়েছে হুমকির মুখে।

কারখানার কেমিক্যালের বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে খাঁচা ও নদীর মাছগুলো মারা যাচ্ছে। এতে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে উপজেলার নলকা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধনে করেছে ক্ষতিগ্রস্থ ৭০টি খাচায় মাছ চাষ করা পরিবার।

মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবাররা বলেন, বিভিন্ন এনজিও, ব্যাংক থেকে চরা সুদে লোন ও আত্মীয় স্বজনদের থেকে ধারদেনা করে আমরা এই ফুলজোড় নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। এই মাছ চাষই আমাদের মুল জীবিকার উৎস। কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে আমাদের চাষ করা মাছ মরে সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমাদের ক্ষতিপূরণ না দিলে পথে বসতে হবে। তাই নদী দূষণ বন্ধ করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে রাস্তায় মানববন্ধনে নেমেছি আমরা।
নলকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দিক নির্দেশনায় সকলকে নদীতে না নামার জন্য নদীর কিনারে লাল নিশানা টাঙিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং নদী কেন্দ্রীক এলকাগুলোতে মাইকিং ও বিভিন্ন মসজিদ, মন্দিরে এ বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল বলেন, বিষাক্ত বর্জ্যে নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কথা ভেবে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। নদীতে বিষাক্ত বর্জ্য থাকায় ফুলজোড়সহ শাখা নদীতে মানুষ ও পশু-পাখিসহ জীবজন্তুকে পানি দূষণ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত নদীতে নামা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement