২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বগুড়া উপনির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে বুথের তুলনায় দেড়গুণ ইভিএম সরবরাহ

বগুড়া উপনির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে বুথের তুলনায় দেড়গুণ ইভিএম সরবরাহ। - ছবি : সংগৃহীত

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) শূন্য আসনের উপনির্বাচনে বুধবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে । সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সহ ভোটের সকল সরঞ্জাম পাঠানো হয় কেন্দ্রে কেন্দ্রে। প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারা সরঞ্জাম বুঝে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহায়তায় নিজ নিজ ভোট কেন্দ্রে বিকেলেই পৌঁছেন। প্রতিটি কেন্দ্রের বুথের দেড়গুণ ইভিএম সরবরাহ করেছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতির পরেও আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য প্রার্থী, এজেন্ট ও ভোটাররা নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শংকিত। তাদের একই কথা নির্বাচনে ভোটাররা নিজের ভোট পছন্দের প্রার্থীকে দিতে পারবেন কিনা এবং ভোটারের ভোটের প্রতিফলন হবে কিনা ? কারণ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে ইতোমধ্যে লাঙ্গলসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জরিমানা করা হলেও নৌকার প্রার্থীকে কোনো জরিমানা গুনতে হয়নি। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানা গেছে, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১১২টি ও ভোট কক্ষ ৭৭৭টি। এর মধ্যে অস্থায়ী কক্ষ ৪২টি।

এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়জন প্রার্থী হলেন নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোট সমর্থিত ও জাসদ (ইনু) মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল), জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক (লাঙ্গল), জাকের পার্টির আব্দুর রশিদ সরদার (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ কংগ্রেস পাটির তাজ উদ্দিন মণ্ডল (ডাব), বহুল আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম (একতারা), সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মোশফিকুর রহমান কাজল (ট্রাক), সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল (কুড়াল), ইলিয়াস আলী মণ্ডল (কলার ছড়ি) ও গোলাম মোস্তফা (দালান)।

বগুড়া-৬ (সদর) আসনে মোট ভোটার চার লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ জন। ভোট কেন্দ্র ১৪৩টি ও ভোট কক্ষ এক হাজার ১৭টি। ভোট কক্ষ মোতাবেক দেড়গুণ ইভিএম সরবরাহ করা হয়েছে। নির্বাচনে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল ইসলাম ওমর (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা ও শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরকার বাদল (কুড়াল), স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ (ট্রাক) আলোচিত আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম (একতারা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মো: নজরুল ইসলাম (বটগাছ), জাকের পার্টির প্রার্থী মো: ফয়সাল বিন শফিক (গোলাপ ফুল), জাসদের (ইনু) প্রার্থী ইমদাদুল হক ইমদাদ (মশাল), গণফ্রন্টের আফজাল হোসেন (মাছ), স্বতন্ত্র প্রার্থী মাছুদার রহমান হেলাল (আপেল) ও রাকিব খান (কুমির)।

এর মধ্যে ট্রাক প্রতীকের অবস্থা নির্বাচনের আগের দিন এসে অনেকটা কমে গেছে বলে মাঠ জরিপে দেখা গেছে। কারণ এতদিন আওয়ামী লীগের একাংশ তাকে গোপনে সমর্থন দিলেও দলের হাই কমান্ডের তৎপরতায় এখন তারা নৌকার পিছু নিয়েছেন। ফলে এ আসনে নৌকার জয়ের সম্ভাবনা উজ্জল বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে দুই আসনে আলোচিত প্রার্থী হিরো আলম ডিজিটাল প্রচারণায় এগিয়ে থাকলেও সার্বিক অবস্থা ভালো নয় বলে মাঠ জরিপে জানা গেছে।

মঙ্গলবার বগুড়া-৬ (সদর) আসনের ভোটের সরঞ্জামাদি শহরের পৌর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ শুরু করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বগুড়াবাসীকে উপহার দিতে। সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মো: সিরাজ এবং বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।


আরো সংবাদ



premium cement