২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাহত শজিমেক ছাত্রের মৃত্যু : বাবা-ছেলে গ্রেফতার

নিহত মেডিক্যাল কলেজছাত্র ফাহিম - ফাইল ছবি

তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ঝাালমুড়ি দোকানির ছুরিকাঘাতে আহত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের (শজিমেক) ২৫তম ব্যাচের শেষ বর্ষের ছাত্র মো: মেহেরাজ হোসেন ফাহিম (২৩) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন শজিমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: রেজাউল আলম জুয়েল।

ফাহিম চাঁদপুর জেলার ফরিদগন্জের বাসিন্দা। তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

পুলিশ এ ঘটনার দুই আসামি বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে ওই রাতেই মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে ফাহিম বন্ধুদের সাথে শজিমেক হাসপাতালের ২ নম্বর গেটে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই গেটে ফরিদ ব্যাপারী ও তার ছেলে শাকিল ব্যাপারি ঝাল-মুড়ির ব্যবসা করতেন। সেখানে ঝাল-মুড়ি খাওয়া নিয়ে ফরিদ ব্যাপারীর সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ফাহিম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিল তার হাতে থাকা পেঁয়াজ কাটার চাকু দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে ফাহিমকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন পুলিশ ফরিদ ব্যাপারীকে ও রাতে ছেলে শাকিল ব্যাপারিকেও আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় পরের দিন সকালে আহত ফাহিমের বাবা নুর মোহাম্মদ আটক দুজনকে আসামি বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন।

ছাত্রলীগের শজিমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, ঘটনার তৃতীয় দিনে ফাহিমকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

তিনি জানান, ‘চিকিৎসকদের কাছে থেকে আমরা জানতে পেরেছি, ছুরিকাঘাতের পর ফাহিমের শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে। সেটি আর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি’।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার এসআই মো: রাসেল বলেন, ঝাল-মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার জেরে ফাহিমকে ছুরিকাঘাত করা হয়। গ্রেফতার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement