১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশে আসতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

-

আসন্ন ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগদান করতে আসতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। গণসমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম ঠেকাতে ১ ডিসেম্বর থেকে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। তাই বুধবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা রাজশাহীতে আসতে শুরু করেছেন।

তবে এখনো কাউকে মাঠে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। তারা রাজশাহীতে বিএনপির দলীয় কার্যালয়, ভাড়া করা কমিউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন স্থানে থাকছেন।

এদিকে এরই মধ্যে আটটি শর্তে রাজশাহীতে বিএনপিকে গণসমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। প্রতিটি বিভাগীয় সমাবেশের আগেই বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে বাসসহ বিভিন্ন গণপরিবহন। তাই আগে থেকেই নেতাকর্মীরা আসছেন রাজশাহীতে।

বগুড়া থেকে রাজশাহীতে এসেছেন আব্দুল গফুর। তিনি জানান, বাস বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সকাল ৭টায় গাড়িতে উঠে বেলা ১১টায় রাজশাহীতে এসেছি। এখন বিএনপি কার্যালয়ে আছি। বিকেলে মাঠে যাব। সেখানেই থাকব।

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে এসেছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, বিরোধী দল হরতাল বা অবরোধ দেয় শুনেছি। কিন্তু এখন তো সরকারই হরতাল দিচ্ছে। তাই আগেই চলে এসেছি।

তিনি আরো বলেন, সাথে চিড়া, মুড়ি ও গুড় নিয়ে এসেছি। মাঠে যাব। সেখানে এসব খেয়ে থাকব।

বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে বগুড়া থেকে এসেছেন মাজহার হোসেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে বাস বন্ধ। তাই আজই চলে এসেছি। এখন দলীয় কার্যালয়ে আছি। এখানেই থাকব। বিকেলে মাঠে যাব।

বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণসমাবেশের সমন্বয়ক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু জানান, ১ ডিসেম্বরের আগে প্রশাসন মাদরাসা মাঠ ব্যবহার করতে দেবে না। আজকের মধ্যেই কয়েক লাখ মানুষ রাজশাহী আসবে। আমরা তাদের বিভিন্ন স্থানে রাখার চেষ্টা করছি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু জানান, রাজশাহীর মানুষ অতিথিপরায়ণ। প্রতিটি বাড়িতে আমাদের নেতাকর্মীদের জায়গা দেবে। নিজেরা না খেয়ে হলেও তাদের খেতে দেবে।


আরো সংবাদ



premium cement