নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী গ্রেফতার
- মান্দা (নওগাঁ) সংবাদদাতা
- ১৫ আগস্ট ২০২২, ২১:০১
নওগাঁর মান্দায় এক সন্তানের জননী মুক্তা খাতুন (২১) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা হলে ওই গৃহবধূর স্বামী রনি হোসেনকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রনি উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের ইটাখোর গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে। আর মৃত গৃহবধূ মুক্তা খাতুন পাশের উপজেলা মহাদেবপুরের ঈশ্বর লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাবুদ হোসেনের মেয়ে।
আত্মহত্যার ঘটনায় গৃহবধূর মা রোকেয়া বেগম দুইজনকে আসামি করে মান্দা থানায় মামলা করেন।
মুক্তা খাতুনের মা রোকেয়া বেগম বলেন, প্রায় চার বছর আগে মেয়ে মুক্তাকে ইটাখোর গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে রনির সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছিল। মেয়ের সুখের কথা ভেবে বিয়ের সময় ও পরে দু’দফায় জামাই রনিকে এক লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেয়া হয়। এরপরও বিভিন্ন সময় মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিল জামাই ও তার পরিবারের লোকজন।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে মুক্তাকে রোববার কয়েক দফা নির্যাতন করা হয়। এসব নির্যাতন সইতে না পেরে মেয়ে মুক্তা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে মুক্তা খাতুনের স্বামী রনি হোসেন ও শাশুড়ি সাজেদা বেগমের বিরুদ্ধে রোরবার রাতে মান্দা থানায় মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, গৃহবধূ মুক্তা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় নিহতের মা মেয়ের জামাই ও বেয়ানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার প্রধান আসামি রনিকে গ্রেফতার করে সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।