১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজশাহীতে বন্ধ ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

রাজশাহীতে বন্ধ ঘরের ভেতর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার - ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহীতে বন্ধ ঘরের ভেতর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া তারা আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। পরে মৃত দম্পতির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় দুর্গাপুর থানা পুলিশ। স্থানীয়রা সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে অভাবের তাড়নায় এই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন।

মৃতরা হলেন দুর্গাপুর উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের সুলতান আলী (৪৫) ও তার স্ত্রী ইসনেহার বেগম (৩৮)। পেশায় ফেরিওয়ালা ছিলেন সুলতান। আর তার স্ত্রী ছিলেন গৃহিণী। তাদের সংসারে ১৭ বছরের ছেলে এবং ১০ বছরের মেয়ে রয়েছে।

উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোসাব্বির মণ্ডল সাংবাদিকদের জানান, মাঝেমধ্যেই পরিবার নিয়ে গ্রামের বাইরে চলে যেতেন সুলতান। কিন্তু বছরখানেক আগে তিনি গ্রামে এসে স্থায়ী হন। বুধবার দুপুরে ছেলেমেয়েরা বাড়ির বাইরে ছিল। ওই সময় সুলতান আলী ও তার স্ত্রী ইসনেহার বেগম বাড়িতে ছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে স্বজনরা শোবার ঘরে সুলতানের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন বিছানায় তার স্ত্রী ইসনেহারেরও লাশ পড়ে আছে। পরে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকতার আলীকে বিষয়টি জানানো হয়।

দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আকতার আলী সাংবাদিকদের জানান, তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আকতার জানিয়েছেন, অভাবের তাড়নায় এই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, সুলতান আলীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। আর তার স্ত্রীর লাশ ছিল বিছানার ওপর। প্রাথমিক আলামত দেখে ধারণা করা হচ্ছে- একজন বিষপানে এবং অন্যজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে তারা আতœতহ্যা করেছেন না একজনকে মেরে অন্যজন গলায় ফাঁস নিয়েছেন সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আপাতত এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হবে। পরে তদন্তে অন্য কিছু পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।

পুঠিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া সাংবাদিকদের জানান, সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত সংগ্রহ করেছে। তারা সেই আলামত পরীক্ষা করে দেখবে। এছাড়া দম্পতির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সম্ভাব্য সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


আরো সংবাদ



premium cement