৭০ বছরের বৃদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে।

সোমবার ভোরে উপজেলার কান্দ্রা গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বৃদ্ধ খলিলুর রহমান একই গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে।

জানা যায়, ওই বৃদ্ধ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীটিকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করলে কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে। এ সময় অভিযুক্ত খলিলুর পালিয়ে যান। কিশোরীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা-চাচাসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকার ইউপি সদস্য বদিউজ্জামান বদি বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযুক্ত উভয়ে ভূমিহীন। তারা কান্দ্রা গুচ্ছগ্রামে সরকারের আবাসন প্রকল্পের তৈরিকৃত সরকারি ঘরে বসবাস করে। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘনকুয়াশার ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতির ডাকে ওই কিশোরী বাড়ি থেকে একটু দূরে যায়। সেই সময় অভিযুক্ত খলিলুর রহমান ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরো বলেন, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মেয়েটির পরিবার ও অভিযুক্ত পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা অভিযোগ করে জানান, ‘খুব সকালে আমার মেয়ে টয়লেট করতে বাইরে বের হয় এ সময় তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে সর্বনাশ করেছে। প্রতিবাদ করায় অভিযুক্ত খলিলুর রহমানের লোকজন আমাদের পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের মারধরে আমার স্বামী ও দেবর গুরুতর আহত হয়েছে।’

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়াদী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা থানায় মামলা করেছে।