২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বিরোধ জমিজমার, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মন্দির ভাঙার গুজব

বিরোধ জমিজমার, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মন্দির ভাঙার গুজব - ছবি : নয়া দিগন্ত

নওগাঁর মহাদেবপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মন্দির ভাঙচুরের গুজব ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেলে এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানায় একটি অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়।

উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের ফরমানপুর হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন যে, তার ও তার ভাই আমজাদ হোসেনের কাছ থেকে দুই শতক জমি কেনার জন্য প্রতিবেশী ফলিন ওরাওয়ের স্ত্রী তারামনি রাণী ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় চুক্তি করেন। তাতে ৬০ হাজার টাকা বায়না করেন। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও বাকী ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করেননি বা জমিও রেজিস্ট্রি করে নেননি।

এ নিয়ে থানা পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বৈঠকে তারামনি বায়নার টাকা ফিরিয়ে নেন। আমিনুল ইসলাম সে জমির চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপণ করেন।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকালে তিনি দেখতে পান যে, ওই জমির কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে ৩০টি গাছের চারা উপড়ে ফেলা হয়েছে। আমিনুল ভাঙা বেড়া মেরামত করে তার জমির ওপর তারামনির টিনের তৈরি একটি অস্থায়ী টয়লেট অপসারণ করেন।

এ সময় প্রতিপক্ষ ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক জাতিগোষ্ঠীর বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে। মহাদেবপুর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু বাড়ি বা মন্দির ভাঙার কোনো আলামত দেখতে পাননি।

জানতে চাইলে ফলিন ওরাওঁ বেড়া ভাঙচুর ও গাছের চারা উপড়ে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে আমিনুল ইসলাম প্রতিপক্ষ তারামনি রাণী, মুনকা ওরাওঁয়ের ছেলে ভদল ওরাওঁ, কমল ওরাওঁয়ের ছেলে শ্যামল ওরাওঁ, কিনা আলীর ছেলে মিলন ইসলাম ও মৃত ঘুকু আলীর ছেলে সোলাইমান আলীর বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, মন্দির ভাঙচুরের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement