২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

হাসপাতালে প্রেমিকার লাশ দেখে ৪তলা থেকে লাফ দিলেন প্রেমিক

হাসপাতালে প্রেমিকার লাশ দেখে ৪তলা থেকে লাফ দিলেন প্রেমিক -

ফেসবুকে পরিচয়। সেই পরিচয় একপর্যায় প্রেমের সস্পর্কে রূপ নেয়। এই প্রেমের সস্পর্ক ধরে প্রেমিকের সাথে ঝগড়া করে আত্মহত্যা প্রেমিকার। অতঃপর হাসপাতালে প্রেমিক। প্রেমিকার লাশ দেখে হাসপাতালের ৪তলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে প্রেমিকও।

রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে।

আত্মহত্যা করেছেন প্রেমিকা নাহিদা খাতুন (১৮)। তিনি জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার রায়কালী গ্রামের আক্তার হোসেন বাবুর মেয়ে এবং বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

শজিমেক হাসপাতাল ভবন থেকে পড়ে দুই হাঁটু ভেঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি প্রেমিক জাকারিয়া (২০)। তিনি কুষ্টিয়া জেলা সদরের দহকুলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, বেশ কিছু দিন আগে ফেসবুকে তাদের দুজনের পরিচয় হয়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমিক জাকারিয়া হাসান গতকাল রোববার কুষ্টিয়া থেকে বগুড়ায় এসে প্রেমিকা নাহিদার সাথে দেখা করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। নাহিদা শহরের বৃন্দাবন পাড়ায় সানজিদা ছাত্রীনিবাসে বসবাস করে লেখা-পড়া করতেন। ছাত্রীনিবাসে ফিরে নাহিদা মনের ক্ষোভে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে বান্ধবীরা তাকে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রেমিক জাকারিয়াকেও খবর দেয় তার বান্ধবীরা।

খবর পেয়ে জাকারিয়া ছুটে যান হাসপাতালে। নাহিদার পরিবারের সদস্যরাও সন্ধ্যার মধ্যেই হাসপাতালে আসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মারা যান নাহিদা। এ কারণে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের ৪তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন জাকারিয়া। খবর পেয়ে মেডিক্যাল ফাঁড়ি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তার দুই পায়ের হাঁটু ভেঙ্গে যাওয়া ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা ঝগড়া করে একজন আত্মহত্যা করেছে, আরেকজন আত্মহত্যার উদ্দেশে ৪তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়লেও প্রাণে বেঁচে গেছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement