স্ত্রীর দাবিতে ৫ দিন ধরে অনশন

রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্ত্রীর দাবিতে স্বামীর বাড়িতে বুধবার থেকে অনশন করছেন পম্পা রাণী দাস (২১) নামের এক কলেজছাত্রী। তিনি স্বামীর বাড়িতে আসার পর পরিবারের লোকজন বাড়ি তালাবদ্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষক তপন কুমার দাস।

পম্পা রাণী কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার তৈয়ব খাঁ গ্রামের হাইস্কুল শিক্ষক মৃণাল কান্তি রায়ের মেয়ে। তিনি কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আর তার স্বামী পার্থ রংপুর শহরে প্রাইম ম্যাটস্ এ পড়ালেখা করে।

পম্পা জানান, পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাটের পল্লী চিকিৎসক স্বপন কুমার দাসের ছেলে পার্থ কুমার দাসের সাথে ফেসবুকের পরিচয় ঘটে চার বছর আগে। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। তিন বছর আগে তার কাকার বাড়িতে বিয়ে তাদের। পার্থ বাড়িতে ফোন করে তার মা-বাবাকে আসতে বললে তারা না আসায় আমার পরিবারে লোকজন আমাদের বিয়ে সম্পন্ন করে। এর কিছুদিন পর তার মা-বাবা আমাদের বাড়িতে আসে। আমাদের পড়াশোনা করতে হবে এবং পরে অনুষ্ঠান করে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসবে বলে তারা চলে আসেন। এরপর পার্থর পরিবার আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আমি বেশ কয়েকবার এলেও তারা আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি।

তিনি বলেন, স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত আমি বাড়ি ফিরে যাবো না। গত বুধবার পার্থর বাড়িতে এলে তার মা, দিদি ও কাজের মেয়ে মারধর করে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। পরে ৯৯৯ এ কল করলে পুঠিয়া থানা থেকে পুলিশ এসে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য বলেন।

এলাকার মাতব্বর বয়েন প্রামাণিক জানান, বুধবার সকালে মেয়েটি স্বামীর বাড়িতে আসার পর পার্থর বাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে বের করে দেন। তার অবস্থা বিবেচনা করে রাত ১০টার দিকে আমার বাড়িতে আশ্রয় দেই। গত দুই দিন থেকে মেয়েটি পার্থর পিসির বাড়িতে আছেন।

পার্থর পিসি বানেশ্বর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপিকা জানান, এদের বিয়ে হয়েছে। মানবিক কারণে বাড়িতে রেখেছি। মেয়েটি আসার পর থেকে বাড়ি তালাবদ্ধ করে পার্থরা সবাই পালিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, তারা দু'পক্ষই কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানায় মামলা করেছে বলে শুনেছি। তাই এই বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তবে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার জন্য বলা হয়েছে।