২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
পাবনা গণপূর্ত ভবনে অস্ত্রের মহড়া

সেই আ’লীগ-যুবলীগ নেতার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল

সেই আ’লীগ-যুবলীগ নেতার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল - ছবি : নয়া দিগন্ত

পাবনায় গণপূর্ত অফিসে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের সশস্ত্র মহড়ার ঘটনায় প্রদর্শিত দুটি শর্টগানের লাইসেন্স বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার বিকেলে লাইসেন্স বাতিলের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ নয়া দিগন্তকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চলতি মাসের ৬ তারিখ পাবনা গণপূর্ত অফিসে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের ঘটনা তদন্তে অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হওয়ায় লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশও করা হয় তদন্ত প্রতিবেদনে। এরই প্রেক্ষিতে এম আর খান মামুন ও শেখ আনোয়ার হোসেন লালুর নামে ইস্যুকৃত শর্টগানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ঘটনাটি জানার পর পরই তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশ। গণপূর্ত অফিসের কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগ না করলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। ঠিকাদারদের প্রদর্শিত অস্ত্রও জব্দ করা হয় ১৩ জুন। আমরা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়ায় প্রদর্শিত অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়। জেলা প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করায় জব্দকৃত অস্ত্রগুলো সরকারের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।

উল্লেখ্য, পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিলুপ্ত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর খান মামুন ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ আনোয়ার হোসেন লালু ২৫ থেকে ৩০ জন সহযোগী নিয়ে গত ৬ জুন বেলা ১২টার দিকে সশস্ত্র অবস্থায় পাবনার গণপূর্ত অফিসে ঢুকে মহড়া দেন। ওই দিন অস্ত্র নিয়েই তারা কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে ঢোকেন। ওই সময় তাদের সঙ্গীরা বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন। ১২টা ১২ মিনিটে তারা ফিরে যান।

১২ জুন সিসিটিভি ফুটেজে তাদের অস্ত্রের মহড়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে ওই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জব্দ করে।

এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়া দুই আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন ও এম আর খান মামুনকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়ে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

সেখানে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

একই অভিযোগে পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ আনোয়ার হোসেন লালুকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে পাবনা জেলা যুবলীগ।


আরো সংবাদ



premium cement