২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নাটোরে স্বামীর পরকীয়ায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ খুন

আটক মতিউর রহমান - ছবি নয়া দিগন্ত

নাটোরের বড়াইগ্রামে স্বামীর পরকীয়ার জেরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ শাহীনুর খাতুনকে (৩৫) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতের স্বামীর সাথে নিজের স্ত্রীর পরকীয়া এবং সর্বশেষ পালিয়ে যাওয়ায় তাকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে অভিযুক্ত হত্যাকারী মতিউর রহমান। তিনি উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।

শুক্রবার নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক যুবায়ের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ও বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহিম।

ব্রিফিং সূত্রে জানা যায়, দুই দশক আগে শাহিনুরের সাথে ভবানীপুর কারিগরপাড়া গ্রামের মজির উদ্দিনের ছেলে রাশেদুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের তিনটি ছেলে-মেয়ে আছে। এরই মধ্যে প্রতিবেশী মতিউরের স্ত্রী আসমা খাতুনের সাথে রাশেদ পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ গত ৩১ মে রাশেদ আসমাকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। এতে মতিউর রাশেদের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার উপায় খুঁজতে থাকে। গত ২ জুন রাতে রাশেদের মা বাড়ির সবাইকে নিয়ে পাশের গ্রামে কবিগান শুনতে যান। শুধু শাহিনুর তার ছেলে সামিউলকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সুযোগে মতিউর তার গরুর ঘাসকাটা হাসুয়া নিয়ে রাশেদের বাড়িতে যায় এবং রাত দেড়টার দিকে চুপিচুপি ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত শাহিনুরকে হাসুয়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই নূর আলী গত ৫ জুন মামলা করলে তাৎক্ষণিক তদন্তে নামে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহীনুরের স্বামীসহ শাশুড়ি রশেনা বেগম ও দেবর আব্দুর রশিদকে আটক করে। একই সাথে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর থেকে রাশেদের পরকীয়া প্রেমিকা আসমা খাতুনকেও আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় এ হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মতিউর রহমানকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এ সময় বাড়ির পাশের বড়াল খাল থেকে হাসুয়াটিও জব্দ করে পুলিশ।


আরো সংবাদ



premium cement