দূরপাল্লায় প্রাইভেটকারের রাজত্ব, রমরমা ব্যবসা
- শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা
- ০৮ মে ২০২১, ১৭:০৯, আপডেট: ০৮ মে ২০২১, ১৯:৫০
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে দেশে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। এ সুযোগে রমরমা ব্যবসায় মেতেছে প্রাইভেকার, মাইক্রোবাস ও ছোট ইঞ্জিনচালিত যানবাহনগুলো। পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাসভাড়ার কয়েকগুণ বেশি টাকা খরচ করে প্রাইভেকার, মাইক্রোবাসে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। আগে নন-এসি বাসে ঢাকা থেকে বগুড়া-রংপুর ভাড়া ছিল ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা। বর্তমানে একই রাস্তায় প্রাইভেটকারে গেলে গুণতে হচ্ছে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা।
সরেজমিনে শেরপুর ধুনটমোড় গিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এখন সাড়ে সাত হাজার থেকে আট হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে প্রাইভেটকার। নোয়া গাড়ি ভাড়া ১৭ হাজর থেকে ২০ হাজার টাকা। এ ভাড়া কেবল একমুখী অর্থাৎ শুধু যাওয়ার বা আসার ভাড়া।
নাম প্রকাশ না করে এক যাত্রী বলেন, ঢাকা থেকে রংপুরে আসার সময় সরাসরি গাড়ি পাইনি। তাই তিনজন মিলে ঢাকা থেকে রংপুরে আসার জন্য সাড়ে সাত হাজার টাকা দিয়ে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করি। এতে জনপ্রতি আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
ঢাকা থেকে বগুড়া আসা একটি নোয়া গাড়িতে দেখা গেছে, গাড়িতে গাদাগাদি করে ১২ জন যাত্রী নিয়ে যেতে। গুণতে হচ্ছে জনপ্রতি সিটভাড়া দেড় হাজার টাকা। ওই গাড়ির যাত্রী সিয়াম বলেন, বাস বন্ধ। এ সুযোগে প্রাইভেকার, মাইক্রোবাসচালক ও মালিকরা রমরমা ব্যবসা করছে। তিন গুণ ভাড়া বেশি দিয়ে ঢাকা থেকে বগুড়ায় যাচ্ছি। আর বাস কাউন্টারগুলোর সামনে বসে আছেন কয়েকজন এজেন্ট বা দালাল। ভাড়া নিয়ে তাদের সাথেই কথা বলতে হয়।
নোয়া গাড়ির চালক আকরব মন্ডল জানান, ২৮ বা ২৯ রমজানে এই ভাড়া বেড়ে জনপ্রতি হবে তিন হাজার টাকা। এত বেশি ভাড়া হলেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। এটা ব্যক্তিগত গাড়ি হিসেবেই রাস্তায় চলছে।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এ কে এম বানিউল আনাম বলেন, ‘ভাড়ায় যাত্রী নেয়া হচ্ছে এমন চোখে পড়লে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর সরকারি প্রজ্ঞাপনে শুধু গণপরিবহন বন্ধ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ির বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।’ শেরপুর ট্রাফিক ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াজদানি বলেন, ‘ফ্যামিলি কারে পরিবারের লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করলে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কম। তাই তা থামানো হচ্ছে না।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা