নওগাঁয় চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ, হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হলো নারীর

নওগাঁয় পরকীয়ার জেরে চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে এক নারীকে (২৭) জখম করে শরীর থেকে হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করেছে এক ব্যক্তি। ঘটনার পর ওই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের দয়ালের মোড় হাসপাতাল রোডের দি পপুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নজমুল হোসেনকে (৪২) স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। নজমুল হোসেন শহরের মাস্টারপাড়া মহল্লার মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক।

প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারী শহরের দয়ালের মোড়ের হাসপাতাল রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি শহরের চকতাতারু মহল্লা থেকে শহরের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো আজও তিনি ওই রাস্তা দিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন। এ সময় পিছন থেকে নজমুল হোসেন একটি চাপাতি দিয়ে ওই নারীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এতে মাথা ও ঘাড়ে গুরুতর জখম হন এবং ডান হাতের শাহাদত আঙ্গুলটি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ঘটনার পর স্থানীয়রা এসে নজমুলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। অভিযুক্ত নজমুল একজন মাদকসেবী বলে জানা যায়।

আটক নজমুল হোসেন বলেন, ‘ওই নারীর স্বামী অনেক আগেই মারা গেছেন। ২০১৭ সালে একপর্যায়ে তার সাথে পরিচয় হয়। মাঝেমধ্যে তার সাথে দেখা সাক্ষাৎ হতো। ওই নারী আমাকে কবিরাজি ওষুধ দিয়ে পাগলা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওষুধে কাজ হচ্ছিল না। একপর্যায়ে আমার কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আমাকে আর গুরুত্ব দিচ্ছে না। ক্ষোভের বসে বাড়ি থেকে চাপাতি নিয়ে এসে তাকে মেরে ফেলার জন্য কুপিয়েছি।’

এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার পর স্থানীয়রা নজমুল হোসেনকে আটক করে রেখেছিল। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওই নারীর হাতের একটি আঙ্গুল কাটা পড়েছে। চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।