২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাণীনগরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে বসবাস, যেকোনো সময় প্রাণহানীর আশঙ্কা

রাণীনগরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে বসবাস, যেকোনো সময় প্রাণহানীর আশঙ্কা - ছবি : নয়া দিগন্ত

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের বেলঘড়িয়া পুকুর পাড়ে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মিত ঘর আড়াই বছরের মাথায় ঘরে ফাটল ধরেছে। অসহায় পরিবার ঘর মেরামত করতে না পারায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নিরুপাই হয়ে বসবাস করছেন ফাটল ধরা ঘরে। ফলে যেকোনো সময় দেয়াল ধ্বসে প্রাণহানী ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পরিবারটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে গৃহহীনদের জন্য সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের কাচারী বেলঘড়িয়া গ্রামে পুকুর পাড়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট ইটের পাকা ২০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। ওই বছরের মে মাসে ঘর নির্মাণ শেষে সুবিধাভোগীদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হয়। ঘরগুলো নির্মাণের মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সুবিধাভোগী সাবের আলীর ঘরের দেয়াল ফেটে যায়। বর্তমানে দেয়ালের ইট খুলে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় দেয়াল ধ্বসে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পরিবারটির লোকজন বলছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তারা এসে পরিদর্শন করে ছবিও তুলে নিয়ে গেছেন। কিন্তু এর পরেও কোনো সংস্কার হচ্ছে না।

সাবের আলীর স্ত্রী জুলেখা বিবি বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। আমার সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ পাঁচ সদস্য রয়েছে। বাড়িতে চুন তৈরি করে হাটে-বাজারে বিক্রি করে ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের সদস্যদের ভরণ-পোষন করতে হয়। ব্যবসা করে যে পরিমাণ আয় রোজগার হয় তা দিয়ে কোনো রকম সংসার চলে। পাকা ঘর মেরামত করতে গেলে যে পরিমাণে টাকার প্রয়োজন তা আমাদের নেই। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আতঙ্ক আর অশঙ্কার মধ্যে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।’

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আল মামুন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘরগুলো পরিদর্শন করেছি। যেহেতু ঘরগুলো হস্তান্তরের পর আমাদের আর দ্বায়িত্ব থাকে না। তার পরেও সরকারি কোনো বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement