চাঁদাবাজির অভিযোগে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি গ্রেফতার

বগুড়ার শাজাহানপুরে ইউনুস আলী (৫৫) নামে এক আঞ্চলিক কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তিনি শাজাহানপুর উপজেলার অন্তর্গত বগুড়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বেজোড়া দক্ষিণপাড়া কমিউনিটি পুলিশিংয়ের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি।
শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইউনুস আলী কমিউনিটি পুলিশিংয়ের নামে চাঁদা আদায়ের রশিদ ছাপিয়ে তিনি বিভিন্নজনের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অপরদিকে কমিউনিটি পুলিশিং শাজাহানপুর উপজেলার শাখার সভাপতি আবু জাফর আলী জানান, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের গঠনতন্ত্রে তহবিল গঠন করার নিয়ম রয়েছে। সেক্ষেত্রে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা যাবে। সেবাভোগী বা অধিবাসীদের কাছ থেকে এককালীন অনুদান, যেকোন ব্যক্তির কাছ থেকে অনুদান নেয়া যাবে।

তিনি আরো বলেন, সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আর্থিক অনুদান নেয়া যাবে। বিজ্ঞাপন ও অন্য কোনো প্রচারণার উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ ও কোনো বাণিজ্যিক বা আয়ের উৎস সৃষ্টি করে অর্থ সংগ্রহ করে তহবিল গঠন করা যাবে। অথচ থানা পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের গঠনতন্ত্র না জেনে ইউনুস আলীকে গ্রেফতার করেছে।

স্থানীয়রা জানান, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় একদল দুর্বৃত্ত বেজোড়া হিন্দুপাড়ার নির্মল নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসানোর জন্য তার বসতবাড়ির পানির ট্যাঙ্কের ভিতর দু’টি ধারালো চাপাতি রেখে দেয়। বিষয়টি গ্রামবাসি জানতে পেরে ওই রাতেই চাপাতি দু’টি উদ্ধার করে নির্মলের বাড়িতেই রেখে দেয়। পরে নির্মল বেজোড়া কমিউনিটি পুলিশিংয়ের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি ইউনুস আলীর কাছে জমা দিয়ে আইনি সহায়তা চান।

একপর্যায়ে ইউনুস আলী অজানা কারণে পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের আঞ্চলিক কার্যালয়ে বসে নিজেই বিষয়টি মীমাংসা করেন। পরে তিনি ধারালো অস্ত্র দু’টি গায়েব করে ফেলেন। কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির এখতেয়ারের বাইরে এমন কার্যক্রম করায় ইউনুস আলীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।

শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিম উদ্দীন জানান, ধারালো অস্ত্রের বিষয়টি তার জানা নেই। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের নামে চাঁদা আদায়ের রশিদ ছাপিয়ে ইউনুস আলী বিভিন্নজনের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।