১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চাল না দেয়ায় সাড়ে ৫ শতাধিক চালকল কালো তালিকাভূক্ত

চাল না দেয়ায় সাড়ে ৫ শতাধিক চালকল কালো তালিকাভূক্ত - সৃংগৃহীত

বগুড়ায় সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহে চুক্তি না করা, চুক্তি করেও কোনো চাল না দেয়া এবং বরাদ্দকৃত চাল সরবরাহ না করার অপরাধে সাড়ে পাঁচ শতাধিক চালকল কালো তালিকাভূক্ত করেছে খাদ্য বিভাগ। এসব মিল মালিককে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। ফলে অনেক মিল মালিক সর্বোচ্চ
দুই মওসুম পর্যন্ত সরকারের কাছে চাল বিক্রি করতে পারবে না।

বগুড়া জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বোরো মওসুমে জেলার ১২টি উপজেলার ২৩টি এলএসডি ও ১টি সিএসডি সরকারি খাদ্য গুদামে ৭১ হাজার ৮৮৪ টন চাল বিক্রির জন্য মোট ১ হাজার ৯৬২ জন চালকল মালিকের মধ্যে ১ হাজার ৫৫৬ জন চুক্তি করেন। এছাড়া লোকসানের আশঙ্কায় জেলার বাকি ৪০২ জন মিল মালিক চাল দিতে সরকারের সাথে কোনো চুক্তিই করেনি।

সরকারি গুদামে সিদ্ধ চালের দাম ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে দাম কিছুটা বেশি থাকায় চুক্তি করেও লোকসানের কারণ দেখিয়ে বরাদ্দকৃত চাল সরবরাহ করেননি ৩২৩ জন ও আংশিক সরবরাহ করেছেন ২৪৮ জন। এতে জেলায় দু’দফায় (১ মে থেকে ৩১ আগষ্ট ও ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) চাল সংগ্রহ হয়েছে ৪৩ হাজার ৯৬৭ মেট্রিক টন এবং কৃষকের নিকট থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান সংগ্রহ হয়েছে ৩৪ হাজার ৮৬৬ মেট্রিক টনের স্থলে ২২হাজার ৬শ’৩৪ মেট্রিক টন। খাদ্য বিভাগ চাল সরবরাহে মিল মালিকদের বার বার তাগাদ দিলেও তারা সাড়া দেয়নি। তাই সরকারী চুক্তি
ভঙ্গের অপরাধে ২৪৮ জন মিল মালিককে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করেছে খাদ্য বিভাগ।

সূত্র জানায়, চুক্তি না করা মিল মালিকদের আগামী দুই মওসুম, চুক্তি করেও চুক্তি মোতাবেক চাল সরবরাহ না করায় এক মওসুমের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ এসব মিল এ সময়ে সরকারী গুদামে চাল সরবরাহ করতে পারবে না। এ ছাড়া আরো কিছু মিল কে আর্থিক শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এসব শাস্তির কারণে আগামী মওসুম থেকে চুক্তি মোতাবেক চাল পাওয়া যাবে বলে আশা করছে খাদ্য বিভাগ।


আরো সংবাদ



premium cement