কাফনের কাপড় পরিয়েও দাফন হলো না জহুরুলের
- রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা
- ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১৯:০৭
নওগাঁর রাণীনগরে কাফনের কাপড় পরিয়ে প্রস্তুতি নিলেও শেষ পর্যন্ত দাফন করতে পারেনি জহুরুলকে (৫২)। জহুরুলের মৃত্যু নিয়ে নানা রকম গুঞ্জন ওঠায় অবশেষে সোমবার রাতে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার সকালে মর্গে পাঠিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের শিবের মাধাইমুড়ি গ্রামে। জহুরুল ওই গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে।
জানা গেছে, রোববার রাতে জহুরুল স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে এক সাথে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে হঠাৎ করেই বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এসময় স্ত্রী মরিয়ম পরিবারের লোকজনকে ডেকে তুলে রাতেই জহুরুলকে আদমদীঘি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মারা যাবার পর থেকেই তার মৃত্যু নিয়ে নানা রকম গুঞ্জন চলতে থাকে। এদিকে সোমবার বাদ যোহর নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হবে এমন সময় নির্ধারণ করা হয়। সকালে গোসল দিয়ে দাফনের জন্য কাফনের কাপড় পরানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে লাশ দাফনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবারের লোকজন। কখনো কথা ওঠে জহুরুলকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। আবার কখনো কথা ওঠে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এছাড়া জহুরুল স্টোক করে মারা গেছেন বলে সকাল থেকেই প্রচার চলে। অবশেষে সন্ধ্যার দিকে জহুরুলের ছেলে মিজানুর রহমান রাণীনগর থানায় ইউডি মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
জহুরুলের স্ত্রী মরিয়ম বলেন, তার স্বামী দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন, রাতে ঘুম থেকে ওঠে দেখেন রক্ত বমি করছেন। এসময় আদমদীঘি হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। তবে তার স্বামী বিষক্রিয়ায় না কি অসুস্থতাজনিত কারণে মারা গেছেন তা বলতে পারেননি তিনি।
তিনি দাবি করে আরো বলেন, স্বামী মারা যাবার পর স্বামীর জায়গা-জমির যে অংশ আমি পাবো সেটা ছেলেরা দিবে না। তাই আমার প্রতি নানা রকম অভিযোগ তুলে লাশ ময়নাতদন্তে পাঠাচ্ছে।
জহুরুলের ছেলে নুরে আলমের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, আমার শ্বশুর দীর্ঘ প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর দুবাই ছিলেন। সে সময় যে টাকা ইনকাম করেছেন সব টাকা শাশুড়ি কোথায় কি করেছেন তার কোনো হিসেব দিতে পারেননি। এটা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে শ্বশুর-শাশুড়ির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
তিনি আরো বলেন, রাতেই শ্বশুরের মুখ থেকে বিষের গন্ধ পেয়েছি তাই লাশ ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রাণীনগর থানার ওসি মো: জহুরুল হক বলেন, এঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হযেছে। লাশ মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই বোঝা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা