১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তাড়াশে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

তাড়াশে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ - প্রতীকী

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গণস্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দেয় স্থানীয় মুসুল্লিরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তালম ইউনিয়নের পাড়িল গ্রামে প্রায় ৩০ বছর আগে পাড়িল জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তখন থেকেই ওই মসজিদে স্থানীয় মুসুল্লিরা নামাজ আদায় করে আসছেন।

স্থানীয়রা জানায়, ওই মসজিদের নিজ নামে ও সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত প্রায় ২২ বিঘা দুটি পুকুর ও তিন বিঘা ফসলী জমি রয়েছে। ওই পুকুর ও জমি থেকে আসা আয়ের অর্থ দিয়ে মসজিদের উন্নয়ন কাজ করা হয়।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, মসজিদের ওই সম্পদ গ্রামের প্রভাবশালী মোহাম্মদ আলী মোতা, আব্দুস সালাম ভুট্ট, মোহাম্মদ আলী সরকার, আমির হোসেন, আবুল কালাম সরদার, আবু তাহের, আব্দুর রশিদ ফকির ও জামাল উদ্দিনরা নিজেদের ক্ষমতা খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পুকুর ও জমি থেকে আসা আয় আত্মসাত করে আসছেন। এছাড়াও ২০১১-২০২০ সাল পর্যন্ত দুটি পুকুরের ইজারার প্রায় ৫০-৬০ লাখ, জমি থেকে আয় তিন লাখ টাকা, পাড়িল গ্রামের কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ থেকে গাছ বিক্রি করে আরো দুই লাখ টাকা ওই প্রভাবশালীরা আত্মসাত করেছেন। গ্রামবাসীদের দাবি মসজিদ নির্মাণের কাজ করার কথা বলে দীর্ঘদিন যাবৎ ওই প্রভাবশালীরা টালবাহানা করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে ওই প্রভাবশালীদের কাছে গ্রামবাসীরা বার বার মসজিদসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় হওয়া টাকা ফেরৎ দিয়ে প্রায় ভেঙে যাওয়া মসজিদটির নির্মাণের দাবি করলেও তারা তাতে সাড়া দেননি।

মসজিজেদের টাকা আত্মসাতকারী প্রভাবশালী আব্দুর রশিদ ফকির বলেন, মসজিদের টাকা আছে তা দিয়ে মসজিদের পুরাতন ঘর ভেঙে নতুন করে পরিকল্পনা অনুযায়ী মসজিদ নির্মাণ করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।

অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির বলেন, গ্রামের সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন করে মসজিদ তৈরি করা হবে। তবে টাকা আমাদের হেফাজতে থাকবে।

এ ব্যাপারে তাড়াশের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement