২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তিন বছরেও শেষ হয়নি রাণীনগর-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ

- ছবি : নয়া দিগন্ত

দীর্ঘ তিন বছরেও শেষ হয়নি নওগাঁর রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ। এদিকে অনেকদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় ভরা বর্ষা মৌসুমে সড়কে এখন খানা খন্দকে ভরপুর। এলাকার লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। কবে নাগাদ শেষ হবে এই রাস্তার কাজ? এমন প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মনে।

জানা গেছে, নওগাঁর রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) আওতায় ছিল। মহাসড়কটি গত চার বছর আগে এলজিইডি থেকে সড়ক জনপদ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। এই সড়কটি নওগাঁ থেকে রাণীনগর এবং রাণীনগর থেকে আবাদপুকুর-কালীগঞ্জের মধ্য দিয়ে নাটোরের সিংড়ার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের সাথে মিলিত হয়েছে। রাস্তাটি প্রশ্বস্ত এবং মজবুত করতে গত ২০১৮ সালে টেন্ডার দেয়া হয়।

দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার সড়ক এবং ২৬টি কালভার্ট ও চারটি সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয় ১০৫ কোটি টাকা। আর রাস্তা, কালভার্ট ও সেতু নির্মাণে সময় দেয়া হয়েছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা একের পর এক অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করতে থাকেন।

স্থানীয়রা বলছেন, সড়কে কেবলমাত্র কার্পেটিং তুলে কোনো রকমে রোলার দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন এমন অবস্থায় পরে থাকায় সড়কে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বৃষ্টির পানি জমে অনেক জায়গায় কাদা হয়। ফলে যানবাহন চলাচল করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। এছাড়া গত তিন বছরে এখন পর্যন্ত কালভার্ট এবং সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি। অধিকাংশ সেতু-কালভার্ট ভেঙ্গে কাজ না করেই ফেলে রাখা হয়েছে।

দেখা গেছে, করোনার কারণে গত পাঁচ থেকে ছয় মাস ধরে রাস্তার কাজ একদম বন্ধ থাকায় হতাশায় পরেছেন এলাকাবাসী। রাস্তার এমন বেহাল দশার অজুহাতে পরিবহন মালিকরা দফায় দফায় ভাড়া বৃদ্ধি করছেন।

এলাকাবাসী এখন স্থানীয় এমপি ইসরাফিল আলম গত মাসের ২৭ তারিখে মারা যাওয়ায় এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও চলমান কাজ নিয়ে শঙ্কিত।

যাত্রীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত তিন বছর ধরে আমরা ভোগান্তি পোহাচ্ছি। ভারী মালামাল পরিবহন, জরুরি রোগী নিয়ে সড়কে চলাচল করা অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য হয়। এলাকার অভিভাবক এমপি বেঁচে থাকতে তাগাদা দিয়েও সড়কে কাজ শেষ হয়নি। এখনতো তিনি বেঁচে নেই, তাগিদ দেয়ার মানুষও নেই! কবে নাগাদ শেষ হবে এই রাস্তার কাজ একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন। দুর্ভোগ লাগব করতে তারা দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে এবং লকডাউনের কারণে লেবার সঙ্কট ও মালপত্র না পাওয়ায় ঠিকাদার কাজ করতে পারেনি। আশা করছি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে এবং চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
গফরগাঁওয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে সরকার : মির্জা ফখরুল মিরসরাইয়ে মৃত্যুর ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তার কবর থেকে লাশ উত্তোলন দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ রংপুরে মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করায় ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি, অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে : ধর্মমন্ত্রী সিলেটে ৪৪ লাখ টাকার ভারতীয় চিনিসহ গ্রেফতার ৪ অবৈধ সম্পদ : এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ জুন টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে চাপম্যান-আফ্রিদির উন্নতি থানচিতে ট্রাকে দুর্বৃত্তদের গুলি

সকল