২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পচা পেঁয়াজের ট্রাকও আটকে রেখেছে ভারত : বগুড়ায় দাম বৃদ্ধি

পচা পেঁয়াজের ট্রাকও আটকে রেখেছে ভারত : বগুড়ায় দাম বৃদ্ধি - সংগৃহীত

ভারত পচা পেঁয়াজের ট্রাকও সীমান্তে আটকে রেখেছে। হঠাৎ রপ্তানী বন্ধের পর ভারতে আমদানীকরা পেঁয়াজ ট্রাকে লোড করার ১১দিন পরেও বাংলাদেশে আসতে পারেনি। ফলে ট্রাকেই সেই পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজবাহী ট্রাক ছেড়ে দিতে ভারত সরকার সম্মত হয়ে গত শনিবার কিছু ট্রাক ছেড়ে দিয়ে আবার বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বগুড়ায় আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

বগুড়া শহরের বড় পাইকারী বাজার রাজাবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে নতুন কোন সিদ্ধান্ত তারা জানেন না। তবে এ নিয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সে দেশের সরকারের সাথে দেনদরবার করছেন বলে জাতে পেরেছেন। তারা আরো জানান , ট্রাকের পেঁয়াজ ইতোমধ্যে ৬০-৭০ শতাংশ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। আগামী ২-১ দিন পর এ পেঁয়াজ খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়বে। তখর এ পেঁয়াজ আসা না আসা সমান কথা।

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধের পরদিন বগুড়ার বাজারে দেশী ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেড়ে যায়। এরপর ট্রাক লোডকরা পেঁয়াজ ছাড়তে চাইলে দাম কিছুটা কমে। কিন্তু রোববার থেকে আবার বন্ধ করলে দাম সোমবার আবার কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরকার টিসিবির মাধ্যমে সামান্য পরিমাণে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও তা বাজার নিয়ন্ত্রণে কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না।

বগুড়া রাজাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পেঁয়াজ আমদানীকারক পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, আমার ২৫-৩০ ট্রাক ভর্তি পেঁয়াজ সীমান্তে আটকে আছে। শুনেছি প্রায় ৫০ ভাগ পেঁয়াজ ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। এখনও ট্রাক না ছাড়লে ওই পেঁয়াজ দেশে আসলেও বিক্রি করা যাবে না। এতে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছি। তিনি আরো জানান, এই ক্ষতির ভাগ ভারতীয় ব্যবসায়ীরা কতটুকু নেবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

এদিকে হাকিমপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, বাংলা হিলি আমদানী রপ্তানী গ্রুপের সিনিয়র সহসভাপতি ও পেঁয়াজ আমদানী কারক শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত শনিবার যে পেঁয়াজ ভারত থেকে এসেছে তার ৭০ ভাগই পচে নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি এলসি করা সব পেঁয়াজ আমদানীতে সহায়তা চান সরকারের।

উল্লেখ্য, গত সোমবার হঠাৎ করে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে পেঁয়াজ বোঝাই বাংলাদেশমুখী সকল ট্রাক রাস্তায় আটকে দেয়। এরপর ভারত সরকারের সাথে দেনদরবার করার পর ট্রাক ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক শনিবার হিলি স্থলবন্দর পথে ১১টি ট্রাকে ২৪৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আসার পর আবারো পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক বন্ধ করেছে ভারত। এ ছাড়া এলসি করা সব পেঁয়াজ দেয়ার আইনী বাধ্যবাধকতা থাকলেও ভারত কোন কিছুই মানছে না।


আরো সংবাদ



premium cement