তাড়াশে সন্তানের দাবিতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ
- তাড়াশ সংবাদদাতা
- ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:২৭
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ছামিউল হক নামে ৪ বছর বয়সী এক শিশু সন্তানকে ফেরত পেতে (২০সেপ্টেম্বর) রবিবার সকালে পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মা আছিয়া পারভিন ছনিয়া। তিনি উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী বিভিন্ন সময় যৌতুকসহ নানা উপঢৌকন দাবী করেছে। আমার বাবা মা আমার সুখের কথা চিন্তা করে তার সকল দাবী পুরন করে। তারপরও সে আমাকে কারণে অকারণে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালে আমার স্বামী গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে আমাকে তালাক দেয়। সে সময় আমার ৪ বছর বয়সী শিশু সন্তান ছামিউল হককে জোরপূর্বক তার কাছেই রেখে দেন।
নিরুপায় হয়ে আদালতে আমি আমার স্বামী সোহেল রানা সোহাগের বিরদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করি। মামলা নং ১৬৯/২০২০। পরে বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেনের কাছে থেকে একটি মিথ্যা প্রত্যয়নপত্র নিয়ে আদালতে জমা দিয়ে তিনি জামিন নেন। অথচ আমার স্বামী তাড়াশ পৌর এলাকার বাসিন্দা।
আমার স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান। আদালত যে রায় দিবে আমি তা মাথা পেতে নেব। আদালাতের বিষয়ে আমার কিছু বলা শোভা পায় না।
কিন্ত আমার স্বামী সোহেল রানা সোহাগ সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমার ৪ বছরের অবুঝ শিশু সন্তানকে জোরপূর্বক আটকে রেখেছেন। একজন অবুজ শিশু সন্তানকে মায়ের স্নেহ-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
আমি এক অসহায় মা ছেলেকে ফেরত পেতে আপনাদের দারস্থ হয়েছি। আমি আশা করি আপনাদের ক্ষুরধার লিখণীর মাধ্যমে এক অসহায় মা ফিরে পাবে তার অবুজ শিশুকে। আর নিষ্পাপ অবুজ শিশু পাবে মায়ের ভালবাসা ও মায়ের অধিকার।
এদিকে শিশু ছমিউল হকের বাবা সোহেল রানা বলেন, ছামিউল হকের মা একজন পোশাক শ্রমিক। তিনি সন্তান দিয়ে কি করবেন? আর যদি ফেরত নিতেই হয়, তবে আদালতের মাধ্যমে নিতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা