বসাকেরচর বিদ্যালয়ের দ্বীতল ভবনটিও পদ্মায় বিলীন
- শরীয়তপুর সংবাদদাতা
- ৩০ জুলাই ২০২০, ১৯:৩৯
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে চরআত্রা ইউনিয়নের ৮১ নং বসাকেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বীতল ভবন কাম সাইক্লোন সেন্টারটিও আগ্রাসী পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ভবনটির সিড়ির রুমটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। যে কোনো সময় পুরো ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এর আগে গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় এই বিদ্যালয়ের একতলা ভবনটি পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
এছাড়া ২৪ ঘন্টায় ওই এলাকার আরো অর্ধশতাধিক বসত বাড়িসহ অনেক ফসলী জমি পদ্মার আগ্রাসী থাবায় বিলীন হয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদশীরা বলছেন স্রোতের গতি আরে বৃদ্ধি পেলে ভাঙন আরো ভয়াবহ হবে।
বসাকেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন ও ডা: তৌহিদুল ইসলাম মুন্সি জানান, উজানের পানি নামতে শুরু করার পর থেকেই পদ্মা বেষ্টিত নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা ইউনিয়নের বসাকের চর গ্রামের নদী তীরবর্তি এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। গতকাল বুধবার পদ্মার প্রবল স্রোতে বসাকেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একতলা ভবনটি পদ্মা গর্ভে চলে যায়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয়ের দ্বীতল ভবন কাম সাইক্লোন সেন্টারটির পশ্চিম পাশের একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে।
যে কোনো সময় পুরো ভবনটি বিলীন হয়ে যাবে। বিলিন হয়ে যাওয়া বিদ্যালয়টি পদ্মার দুর্গম চরাঞ্চলের শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে ১৯৪২ সালে নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা ইউনিয়নের ৮১ নং বসাকেরচর প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের দ্বীতল ভবনটি ২০১২ সালে ও একতলা ভবনটি ২০১৫/২০১৬ অর্থ বছরে নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ভবনটিও নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ৩৭৫ জন কোমলমতি শিশুর শিক্ষা জীবন।
এ ছাড়া গত তিন দিনে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে এই এলাকার ৪টি গ্রামের আরো অর্ধশতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি এবং অনেক ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙন রক্ষায় সাড়ে ৫শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে চরআত্রা রক্ষা প্রকল্পের কাজ গত মার্চ মাস থেকে শুরু হয়েছে। শুধু বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য ওই স্থানে ৭৪ হাজার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তারপরও বিদ্যালয়টি শেষ রক্ষা করা সম্ভব হলো না। ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলে এলাকার বাড়িঘর ও ফসলী জমি রক্ষায় এ প্রকল্পের কাজ চলছে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়ন্তী রুপা রায় বলেন, পদ্মার প্রবল স্রোতে গত ২৪ ঘন্টায় আজ চরআত্রা ইউনিয়নের বসাকেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইটি পাকা ভবন পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালু রাখার জন্য যেখানে ভাঙন ঝুঁকি নেই এমন এলাকায় আপাতত বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। ভাঙন কবলিতদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা