২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাণীনগরে এমপি ইসরাফিল আলমের দাফন সম্পন্ন

রাণীনগরে এমপি ইসরাফিল আলমের দাফন সম্পন্ন - সংগৃহিত

নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। সোমবার বাদ আছর নিজ জন্মভূমি নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ঝিনা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মা’র কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

সোমবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি স্ত্রী এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে নির্বাচনী আসন রাণীনগর-আত্রাই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বেশকিছু দিন ধরে ফুসফুস, কিডনি এবং ডায়াবেটিক্সজনিত রোগে শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করছিলেন এমপি ইসরাফিল আলম। এর মধ্যে তার মা এসেদা রহমান মারা যাওয়ায় তিনি আরো ভেঙ্গে পড়েন। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন এবং তার শারীরিক অসুস্থ্যতা বাড়ায় ৬ জুলাই চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হলে ১৪ জুলাই তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয় এবং ১৫ জুলাই করোনার ফলাফল তার নেগেটিভ আসে।

বাসায় আনার পর ১৭ জুলাই অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে আবার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জুলাই রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই দিনই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। তিন দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর সোমবার সকালে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে রাণীনগর উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন, উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান রুকু, রাণীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলাল, রাণীনগর প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকমীসহ সাধারণ জনগণ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপণ করেছেন।

তার নামাজে জানাযায় নওগাঁ জেলা সদর আসনের এমপি ব্যারেস্টার নিজাম উদ্দীন জলিল, সাবেক এমপি আব্দুল মালেক, জেলা প্রসাশক হারুন অর-রশিদ, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, রাণীনগর-আত্রাই এলাকার দলীয় নেতাকমী, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রসাশন এবং সাধারণ লোকজন জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। বেলা তিনটা নাগাদ ঢাকা থেকে একটি হেলিকপ্টারযোগে লাশ নিয়ে রাণীনগর হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। এর পর সেখান থেকে লাশবাহি গাড়ি যোগে জন্মভূমি ঝিনা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা গেছে, এমপি ইসরাফিল আলম তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকরি করার সময় শ্রমিক লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। এর পর ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে ইসরাফিল আলম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন বিএনপি জোটের মন্ত্রী আলমগীর কবীর এর কাছে পরাজিত হন। এই সময়কাল রাণীনগর-আত্রাই এলাকা ছিল রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে খ্যাত। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জোটের প্রাথী আনোয়ার হোসেন বুলুকে পরাজিত করে বিজয়ী হন শ্রমিক নেতা মো: ইসরাফিল আলম। চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন তিনি। নির্বাচিত হবার পর থেকে শক্তহাতে জেএমবি দমন করেন। শেষ ২০১৮ সালে আবারো বিএনপি জোটের প্রাথী আলমগীর কবীরকে পরাজিত করে ৩য় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ইসরাফিল আলম।

এছাড়া ইসরাফিল আলম নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি ও শ্রম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ঝিনা গ্রামে ১৯৬৬ সালে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম আজিজুর রহমান ছিলেন এলাকার কৃষক আন্দোলনের নেতা।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরে নিহতদের বাড়ি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী টিকটকে ভিডিও দেখে পুরস্কার, প্রভাব ফেলছে মানসিক স্বাস্থ্যে পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২

সকল