২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ

পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ - ছবি : নয়া দিগন্ত

তাড়াশে গুল্টা হাটের ইজারাদার গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট ২৯টি হাট বাজার। তার মধ্যে গুল্টা হাট বৃহত্তম। মোট ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যে ঠিকাদার গিয়াস বাংলা এক বছরের জন্য ইজারা নেন। সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার গরুর হাট বসে ।

উপজেলা হাটবাজার ইজারা বাস্তবায়ন কমিটি সূত্রে জানা যায়, সরকার নির্ধারিত খাজনা গরু/মহিষের ক্ষেত্রে ২ শ’ ৫০ টাকা, ছাগল/ভেড়ার ক্ষেত্রে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবং জেলা প্রশাসক কর্তৃক নির্ধারিত হারে টোল আদায়ের তালিকা হাটে জনসম্মুখে লাগাতে হবে।

সরেজমিনে (১৪ জুলাই) মঙ্গলবার হাটে গিয়ে দেখা যায়, ইজারাদারের লোকজন হাটের বিভিন্ন প্রান্তে টেবিল নিয়ে বসে খাজনা আদায় করছে।

উপজেলার ভাদাশ গ্রামের সরকারি চাকুরীজিবি রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার হাটে কোরবানির জন্য ৫৬ হাজার টাকায় একটি ষাঁড় কিনেছি, ইজারাদারের লোকজনকে গরুর খাজনাবাবদ ২শ’৫০ টাকা দিতে চাই রশিদ লেখক বেঁকে বসে। অবশেষে ৪৫০ টাকা খাজনা দিয়ে রশিদ নিতে হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারী নির্ধারিত হারে টোল আদায় করার কথা অথচ ইজারাদার ক্ষমতার দাপটে অতিরিক্ত খাজনাআদায় করছে। ফলে হাটে গরু মহিষ কিনতে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।

একই অভিযোগ বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর গ্রামের ফয়েজ উদ্দীনের, পাঁচতলী গ্রামের বাবুল আহম্মেদের জামাইল গ্রামের লিয়াকত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, একটি গরু কিনে ৫০০ থেকে ৭০০টাকা খাজনা দিতে হচ্ছে ইজারাদারে লোকজনকে।

কোরবানির জন্য ছাগল কিনতে আসা তাড়াশ গ্রামের হাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, ১৫ হাজার টাকায় একটি ছাগল কিনলাম অথচ খাজনা দিতে হচ্ছে ২৮০ টাকা। বিষয়টি দেখার কেউ নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রশিদ লেখক বলেন, হাটের ইজাদার গিয়াস ভাই রশিদে খাজনা আদায়ের জায়গা ফাঁকা রাখতে বলেছে। শুধু মাত্র ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নাম, ঠিকানা ও দাম লিখতে বলেছে।

হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের দায়ে অভিযুক্ত হাট ইজারাদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, খাজনা ৫০০ টাকা নেব ৭০০ টাকা নেব এটা আপনাদের দেখার বিষয় নয়। প্রশাসনকে বলে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছি।

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও হাট বাজার ইজারা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইফফাত জাহান বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। বাড়তি খাজনা আদায়ের প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement