১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধুনটে যমুনার পানি ফের বিপদসীমার ওপরে

ধুনটে যমুনার পানি ফের বিপদসীমার ওপরে - ছবি : নয়া দিগন্ত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষণের কারণে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত তিনদিনে পানি বেড়ে রোববার বিকেল ৩টায় যমুনার পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জুনের শেষে এই পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ১ জুলাই স্থিতিশীল থাকার পর ২ জুলাই থেকে কমতে থাকে পানি। টানা নয়দিন পানি কমার পর ১০জুলাই থেকে ফের পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে এ উপজেলায় যমুনা নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। প্রথম দফার পানি নেমে যেতে না যেতেই ফের বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে পানিবন্দী মানুষের।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রাধানগর ও বৈশাখীচরসহ অনান্য চরের অধিকাংশ স্থানেই পানি উঠেছে। বন্যা দূর্গত এলাকার মানুষ গবাদি পশু নিয়ে বাঁধে কিংবা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। খুব কষ্টে পড়েছেন বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও শিশুরা। একদিকে করোনা দূর্যোগের মাঝে বন্যা অন্যদিকে বৃষ্টিতে এসব মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলার বৈশাখী চরের আবু হাসেম, লিয়াকত আলী ও জালাল উদ্দিন জানান, বন্যার পানি গত ৫ জুলাই নেমে যাওয়ার পর শুক্রবার বিকেল থেকে পানি বেড়ে ফের বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ। এখন ঘরে পানি প্রবেশ করে ফের দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। একই এলাকার আব্দুর রহমান ও ইব্রাহীম হোসেন জানান, আবার নতুন করে পানি বৃদ্ধির কারণে দুশ্চিন্তায় আছি। আমাদের কষ্ট হোক সমস্যা নাই কিন্তু গবাদিপশু নিয়ে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহি প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনা নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। রোববার বিকেল ৩টার হিসাব অনুযায়ী নদীর পানি ১৬ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement