২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পুঠিয়ায় স্কুল শিক্ষার্থীদের ঘরে বসে পরীক্ষার নামে অর্থ আদায়

-

রাজশাহীর পুঠিয়ায় বেশীর ভাগ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ঘরে বসে পরীক্ষা নেয়ার নামে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকরা বলছেন শিক্ষার্থীদের বাড়িতে যাতায়াত খরচ ও স্কুলের বিদ্যুৎ বিলসহ আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে কিছু টাকা নেয়া হচ্ছে। এ সকল ঘটনায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অভিভাবকরা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, পুরো উপজেলা জুড়ে নিম্ন ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪৮টি। করোনার মহামারির কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস বন্ধ রয়েছে। যার কারণে বেশীর ভাগ শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে উঠেছে। তাদের গতানুগতিক পাঠ মনোনিবেশ রাখতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ঘরে বসে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ইতোমধ্যে সকল প্রতিষ্ঠান ঘরে বসে পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঘরে বসে পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

অভিভাবকদের অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঝলমলিয়া হাই স্কুল, বিড়ালদহ সৈয়দ করম আলী হাই স্কুলসহ বেশীর ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘরে বসে পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ফিস আদায় করছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বাড়িতে প্রশ্নপত্র আনা নেয়ার যাতায়াত খরচও আদায় করছে। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান স্কুলের বিদ্যুৎ বিল ও আনুষঙ্গিক খরচও নিচ্ছে। এর মধ্যে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শ্রেণি ভেদে ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, শিক্ষার্থীদের ঘরে বসে পরীক্ষা নিতে গেলে শিক্ষকদের যাতায়াত খরচ হয়। তার জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে কিছু টাকা নিচ্ছি।

ঝলমলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু বাক্কার বলেন, পরীক্ষা নেয়ার জন্য কিছু খরচাপাতি হয়। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিলসহ কিছু ব্যয় মেটাতে শিক্ষাথীদের নিকট থেকে মাসিক বেতন ও পরীক্ষার ফি নেয়া হচ্ছে।

বিড়ালদহ এস.কে.এস বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোরবান আলী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রতি বিষয়ে মাত্র ২টাকা করে নিচ্ছি। এই টাকা নেয়ার কোনো নিয়ম আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব কিছু কি নিয়মের মধ্যে হয়?

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। সে কারণে অনেক শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে নতুন অনেক শিক্ষার্থীরা আছে যারা স্কুলটি ভালো করে দেখারও সুযোগ হয়নি। যার কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আগ্রহ বাড়াতে তাদের বাড়িতে ঘরে বসে পরিক্ষায় দেয়ার একটা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে এই পরীক্ষায় ফিসের নামে কোনো অর্থ আদায়ের সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে আমি সকল প্রতিষ্ঠানকে টাকা না নিতে নির্দেশ দিয়েছি। তবে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান অর্থ আদায় করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
মিরসরাইয়ে মৃত্যুর ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তার কবর থেকে লাশ উত্তোলন দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ রংপুরে মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করায় ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি, অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে : ধর্মমন্ত্রী সিলেটে ৪৪ লাখ টাকার ভারতীয় চিনিসহ গ্রেফতার ৪ অবৈধ সম্পদ : এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ জুন টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে চাপম্যান-আফ্রিদির উন্নতি থানচিতে ট্রাকে দুর্বৃত্তদের গুলি চীনের আনহুই প্রদেশের সাথে ডিএনসিসি’র সমঝোতা স্মারক সই আ’লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ : ২ শতাধিক ককটেল বিষ্ফোরণ, আহত ৫

সকল