পদ্মার ভাঙনে ১৩ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন
- শরীয়তপুর সংবাদদাতা
- ০৭ জুলাই ২০২০, ২১:১৯
পদ্মার ভাঙনে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া চেয়ারম্যান স্টেশন বাজারে সোমবার গভীর রাতে ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর ৭ দিন আগে ওই বাজারের আরো ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠা পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন আতঙ্কে মঙ্গলবার বাজার থেকে আরো ২০টি দোকানঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উজান থেকে নেমে আসা ঢালে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে হঠাৎ করেই শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। আর এ ভাঙনে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া চেয়ারম্যান স্টেশন বাজারের দিদার সরকার, দেলু বেপারী, সুমন আসামী, রাজ্জাক মিজি, আঞ্জু সরকার জাহাঙ্গীর খাঁর দোকানসহ সোমবার রাত দেড়টার দিকে ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ সব ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো মালামাল রক্ষা করতে পারেনি। এর ১ সপ্তাহ আগে ওই বাজারের আরো ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ নিয়ে মোট ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হলো। ভাঙন আতঙ্কে ইতোমধ্যে বাজারটির আরো ২০টি দোকানঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী দিদার সরকার বলেন, গতকাল রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই । সকালে বাজারে এসে দেখি আমার দোকানঘরসহ আরো ৭টি দোকান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমার সবকিছু কেড়ে নিল পদ্মা। আমি এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কী করে বাঁচব? দোকানের আয় ছিল আমার সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব বলেন, গত কয়েকদিনে পদ্মার ভাঙনে তারাবুনিয়া স্টেশন বাজারের ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত ওই স্থানের ৩শ’ মিটার এলাকায় ৭৫ লাখ টাকা ব্যায়ে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের কাজ চলছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে একটি প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা