২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বগুড়ায় ইফা মাদরাসা শিক্ষদের স্বারকলিপি প্রদান

বগুড়ায় ইফা মাদরাসা শিক্ষদের স্বারকলিপি প্রদান - নয়া দিগন্ত

প্রকল্প জটিলতায় করোনা মহামারিতে ৬ মাস ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বগুড়া জেলার দারুল আরকাম মাদরাসা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সোমবার দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যান সমিতি বাংলাদেশ পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৬দফা দাবীতে এই স্বারকলিপি প্রদান করেন জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান, সহ-সভাপতি হুসাইন আহমদ আবদুল্লাহ, আবু নাঈম, সাধারণ সম্পাদক শারিফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক নাজমুস সাকিব প্রমূখ।

স্বারকলিপিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৩০ডিসেম্বর একনেক সভায় মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প (৬ষ্ঠ পর্যায়) অনুমোদনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মর্মে নির্দেশনা প্রদান করেন যে, দেশের যে সকল এলাকায় স্কুল নেই সেখানে এ প্রকল্পের মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম যেন অর্ন্তভূক্ত করার চিন্তা ভাবনা করা হয়। প্রধামন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ২০১৭ সালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের প্রতি উপজেলায় উক্ত প্রকল্পের (৬ষ্ঠ পর্যায়) অধীন ১ম সংশোধনীর মাধ্যমে দারুল আরকাম নামে ১০১০ টি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে। মাদরাসাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়। ২০১৮ সালে ১০১০জন ক্বওমী ও ১০১০ জন আলিয়া মাদরাসার সনদধারী আলেম নিয়োগের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। ক্বওমী সনদের স্বীকৃতির পর এটাই প্রথম ক্বওমী আলেমদের সরকারি নিয়োগ। শুরুতে ইফার নিজস্ব সিলেবাসে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান শুরু হলেও ২০১৯ সালে এসব মাদরাসা ৫ম শ্রেণীতে উন্নিত করা হয়। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ধর্ম মন্ত্রনালয়ের বিশেষ চাহিদায় প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রাখা হয়। কিন্তু গত ১১ মে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি পাশ হলেও প্রকল্প থেকে দারুল আরকামকে বাদ দেওয়া হয়। এতে ২ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত যেমন অন্ধকারে তেমনি ২ হাজার আলেম শিক্ষক বেতনহীন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

স্বারকলিপিতে দারুল আরকাম মাদরাসা শিক্ষকদের দুর্দশা ও হতাশার কথা উল্লেখ করে প্রকল্প জটিলতা নিরসন করে আসন্ন কুরবানি ঈদের আগে বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান, শিক্ষকদের নিয়মিত জনবল হিসেবে উল্লেখ করে স্কেল ভিত্তিক বেতন-ভাতা প্রদান সহ ৬দফা দাবী বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement