১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাবিতে গবেষণা বরাদ্দ পাবে একচতুর্থাংশ শিক্ষক!

রাবিতে গবেষণা বরাদ্দ পাবে একচতুর্থাংশ শিক্ষক! - সংগৃহিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চলতি অর্থবছরে প্রায় ৪৩৩ কোটি টাকার বাজেট পাশ হয়। এর মধ্যে গবেষণা খাতে ৬০ লক্ষ টাকা বিশেষ বরাদ্দসহ গবেষণায় মোট বরাদ্দ হয় মাত্র ৫ কোটি টাকা। যা এক চতুর্থাংশেরও কম শিক্ষককে গবেষণায় বরাদ্দ দিতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গবেষণায় বরাদ্দের সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হতে পারে অনেক বিশেষায়িত গবেষণা। এতে আরও কমতে পারে শিক্ষকদের গবেষণা- এমনটাই বলছে সংশ্লিষ্টরা।

সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে মোট শিক্ষক রয়েছে ১ হাজার ২৬০ জন। এর মধ্যে একজন গবেষক প্রকল্প প্রতি ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাবেন। এই হিসেবে ৫ কোটি টাকার গবেষণা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ পাবেন মাত্র ২৫০ জন শিক্ষক। ফলে এক হাজারেরও বেশি শিক্ষক গবেষণায় বরাদ্দ পাবেন না।

অনুষদগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অর্থ বরাদ্দ কম হওয়ায় প্রকল্প জমা দেওয়া ও আবেদনে আগ্রহ দেখান না শিক্ষকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখা-২ এর পরিচালক আখতার হোসেন জানান, বরাদ্দ হওয়া অর্থগুলো শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুষদভিত্তিক ভাগ করে দেয় একাডেমিক শাখা। মূলত একক প্রকল্প ও যৌথ প্রকল্পে গবেষণায় বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড় দেওয়া হয়। এর মধ্যে একক প্রকল্পে দুই লক্ষ টাকা এবং যৌথ প্রকল্পে ৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।

শিক্ষকদের জন্য গবেষণা বরাদ্দ একেবারেই নগণ্য উল্লেখ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, জ্ঞান সৃষ্টি ও বিকাশের জন্য গবেষণার বিকল্প নেই। করোনাসৃষ্ট পরিস্থিতিতে আশংকা করা হয়েছিল যে পশ্চিমা দেশগুলো গবেষণায় বরাদ্দ কমিয়ে দেবে। কিন্তু তারা পূর্বের চেয়ে আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। কারণ তারা বুঝতে পেরেছেন দুর্যোগ ঠেকাতে গবেষণালব্ধ জ্ঞানের বিকল্প নেই।

তবে তিনি বলেন, প্রকল্পের বরাদ্দের জন্য অনেক শিক্ষক আবেদন করেন না। এছাড়া দেশে খুব অল্প গবেষণা করেই পদোন্নতি এবং ইনক্রিমেন্ট সুবিধা লাভ করা যায়। এজন্য সত্যিকার অর্থে যারা গবেষণায় আগ্রহী তারা বাদে অন্য শিক্ষকরা গবেষণায় খুব একটা মনোযোগ দেন না। এজন্য তিনি ত্রুটিপূর্ণ পদোন্নতির নীতিমালাকে দায়ি করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আকতার বানু বলেন, প্রতিবারই শিক্ষক সংখ্যার তুলনায় অনেক কম বরাদ্দ আসে। এ কারণে অনেকের আগ্রহ থাকলেও গবেষণায় ভূমিকা রাখতে পারেন না। শিক্ষকদের গবেষণায় অনাগ্রহের একটি কারণ এটি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকরা প্রকল্পের জন্য আবেদন করলে যাচাই বাচাইয়ের মাধ্যমে উপযুক্ত প্রকল্পগুলোতেই বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে বিদেশি প্রকল্পগুলোতে বড় ফান্ড বরাদ্দ থাকায় শিক্ষকরা ওগুলোতেই কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। দেশিয় গবেষণা প্রকল্পগুলোতে স্বল্প বাজেটের জন্য অনেক শিক্ষকই আগ্রহবোধ করেন বরাদ্দ কম হওয়ার এটিও কারণ হতে পারে বলে জানান তিনি।

এর আগে ২৭ জুন ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৩২ কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার টাকা বাজেট পাশ হয়। এর মধ্যে গবেষণা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় মাত্র ৫ কোটি টাকা।


আরো সংবাদ



premium cement
ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকে গেলো বাস, ইঞ্জিনিয়ার নিহত

সকল