চৌগাছায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মুক্তার হোসেন মারা গেছেন

যশোরের চৌগাছায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মুক্তার হোসেন (৫৫) মারা গেছেন। শুক্রবার তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি উপজেলার মশিউরনগর গ্রামের মৃত জাহাবক্সের ছেলে।

এ ঘটনায় নিহতের চাচা মহিউদ্দীন নয়জনকে আসামি করে চৌগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলার আসামি একই গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে জসিম উদ্দীন (২০) ও আলমগীর হোসেন (২৪) আটক করে জেল হাযতে পাঠিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মশিউরনগর গ্রামের মুক্তার হোসেন ও তার চাচাত ভাইদের দীর্ঘদিন ধরে জমা-জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ৩০ মার্চ সোমবার সকালে মুক্তার হোসেন তার জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় ওই জমিতে কাজে বাধা দেন প্রতিপক্ষ চাচাত ভায়েরা। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় তারা বাঁশের লাঠি, কোদাল, রড নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।

এ সময় আহত হন জমির মালিক আব্দুল মান্নান (৫২), মুক্তার হোসেন (৫৫), ভাই মিন্টু (৪২) ইয়াকুব আলী (৫২) ও ছেলে শিমুল হোসেন (৩০)। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চৌগাছা মডেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত আব্দুল মান্নান, মুক্তার হোসেন ও ইয়াকুব আলীর অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসা চলাকালে মুক্তার হোসেনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। শুক্রবার ভোরে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

স্থানীয় ইউপি মেম্বর জামাল হোসেন বলেন, জমি-জমা নিয়ে বিরোধে এ ঘটনা ঘটেছে। মুক্তার হোসেন পেশায় পরিবহনচালক। করোনাভাইসের কারণে গাড়ী চলাচল বন্ধ হওয়ায় সে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌগাছা থানার এস আই রাজেশ কুমার দাস বলেন, ইতোমধ্যে আমরা দুই আসামিকে আটক করেছি। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে আটক করতে এলাকায় পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।