২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বগুড়ার বড় বাজারগুলোতে মানা হচ্ছেনা সরকারের বিধি-নিষেধ

বগুড়ার বড় বাজারগুলোতে মানা হচ্ছেনা সরকারের বিধি-নিষেধ - ছবি : নয়া দিগন্ত

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে জন সমাবেশ না ঘটাতে সরকারী নির্দেশ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে হাটাবাজারে হাজার হাজার মানুষ এক সাথে কেনাবেচা করছেন। এতে সেখানে মারাত্বকভাবে করোনা ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। বুধবার বগুড়ায় বৃহৎ হাট মহাস্থান ও গোসাইবাড়ী সাপ্তাহিক হাটবারে এমন চিত্র দেখা গেছে। অথচ কেনাকাটার জন্য প্রতিদিন সকাল বিকাল সেখানে বাজার বসে।

বগুড়ার বৃহৎ হাট গুলো হলো, মহাস্থানগড়, গোসাইবাড়ী, ধাপ, ওমরপুর, কুন্দার, শেরপুর, নয়মাইল, ধুনট, সারিয়াকান্দি, সুলতানগঞ্জ, মির্জাপুর, নাড়ুয়ামালা প্রভৃতি। ওইসব জায়গায় প্রতি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার হাট বসে। সেখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। হাটে আসা লোকজনের বেশীরভাগের মুখে কোনো মাস্ক দেখা যায়নি। বুধবার বগুড়ার বৃহৎ দুটি হাট মহাস্থান ও গোসাইবাড়ীতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।

গোসাইবাড়ী এলাকার তরিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা, চট্রগ্রাম, সহ বিভিন্ন জায়গায় কলকারখানা, গার্মেন্ট, ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠান, বন্ধ হওয়ায় সেই সব লোক যমুনার পাড়ে ধুনট, সারিয়াকান্দি ও কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলে এসেছে। গোসাইবাড়ী হাটের সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সিরাজগন্জের কাজিপুরের লোকজন বাজার করার জন্য ভীড় জমান। বাইরে থেকে আসা ওই সব মানুষ ও স্থানীয় লোকজন হাটে এক জায়গায় হচ্ছে । গোসাইবাড়ীতে প্রতিদিন সকাল ও বিকেল বাজার বসে। লোকজন সেখান থেকেই কেনাকেটা করতে পারেন। এ ছাড়া কুয়েত, সৌদি আরব, কাতার, ওমানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে যারা প্রবাসী এলাকায় এসেছেন তারাও হাটে কেনাবেচা করচেন। ফলে এলাকাবাসী আরো করোনা নিয়ে শংকিত।

মহাস্থানের মাহফুজুর রহমান জানান, মহাস্থান হাটে বগুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তসহ পাশের গাইবান্ধা, জয়পুরহাট জেলার লোকজন কেনাবেচা করতে আসেন। এমনকি সিলেট, চট্রগ্রাম ও রাজধানী ঢাকা থেকেও পাইকাররা কাঁচামাল কিনতে আসেন। হাজার হাজার মানুষের সমাগমে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বেশী থাকলেও প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই। তবে বগুড়া শহরের বাজারগুলো বিকেল ৫টার পর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

মহাস্থান হাটের ইজারাদার শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাট বসাতে নিষেধ করার পর শুধু কাঁচা শাকসবজি কেনাবেচা হচ্ছে। গরু সহ অন্যান্য পন্য কেনাবেচা বন্ধ রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাবেচা চলছে। তিনি আরো বলেন, হাট বন্ধে কোন চিঠি দেয়া না হলেও মৌখিকভাবে বলা হয়েছে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা জানান, হাট ইজারাদারদেরকে করোনা সতর্কতা সম্পর্কে জানিয়ে হাট না বসাতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কেন হাট বসাচ্ছেন তা খতিয়ে দেখছি। তবে হাট না বসাতে ইজারাদারদেরকে মৌখিকভাবে বলা হলেও কোন চিঠি দেয়া হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement
গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা

সকল